বিনোদন ডেস্ক : পহেলা ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ছবি অ্যানিমেল। মুক্তির প্রথম দিনেই সুনামির বেগে ঝড় তুলেছে ছবিটি। রণবীর কাপুর অভিনীত অ্যানিমেল বক্স অফিসে রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য। প্রযোজনা সংস্থা টি-সিরিজ জানিয়েছে, চারদিনে ছবিটি আয় করেছে ৪২৫ কোটি রুপি।
অ্যানিমেল সিনেমাটি মুক্তির পর থেকেই আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। এতে ভারতের সবচেয়ে ধনী একজন ব্যবসায়ীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনিল কাপুর ও তার ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রণবীর কাপুর। সিনেমার গল্পে তাদের যে প্রাসাদটি পর্দায় ফুটে উঠেছে, সেটি আসলে তৈরি করা কোনো সেট নয়। বাস্তবেই এটি একটি রাজকীয় প্রাসাদ। কি ভাবছেন? কার প্রাসাদ এটি?
বলিউডের ছোট নবাব সাইফ আলী খানের পৈতৃক আবাস পতৌদি প্রাসাদ এটি। এখানেই শুটিং হয়েছে অ্যানিমেলের। সিনেমায় রণবীরদের যে জৌলুসপূর্ণ প্রাসাদে বিচরণ দেখা গেছে সেটি তার বোনের জামাই অর্থাৎ কারিনার স্বামী সাইফ আলি খানের।
ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদন অনুসারে, পতৌদি প্যালেসে ‘অ্যানিমেল’-এর অনেক দৃশ্যের শুটিং হয়েছে। প্রাসাদের বিস্তীর্ণ মাঠ এবং রাজকীয় হলওয়েগুলি কেবল আভিজাত্যকেই ফুটিয়ে তোলেনি বরং সিনেমাটির গল্পের সঙ্গে বেশ শক্ত গাঁথুনি তৈরি করেছে।
তবে অ্যানিমেলই প্রথম নয়, এর আগেও বিভিন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণের পটভূমি হিসেবে কাজ করেছে এই ঐতিহাসিক প্রাসাদ। সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা পরিচালিত ‘অ্যানিম্যাল’-এ, দর্শকরা প্রাসাদের বিশাল লন এবং করিডোরগুলিকে পর্দায় জীবন্ত দেখতে পান।
একটি উল্লেখযোগ্য দৃশ্যে রণবীর কাপুরের চরিত্র রণবিজয় শার্টবিহীন এবং রক্তাক্ত অবস্থায় একটি হলওয়ে অতিক্রম করে। এটি সেই হলওয়ে যেখানে সাইফের তোলা একটি ছবি বেশ ভাইরাল হয়েছিল। প্রাসাদটির অভ্যন্তরীণ দৃশ্য, প্রাচীন জিনিসপত্র এবং পারিবারিক উত্তরাধিকারে সজ্জিত আসবাবপত্র ‘হাউজ অব পতৌদি ফ্যাশন লেবেল’-এর একটি বিজ্ঞাপনে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল, যেখানে সাইফ নিজেই অতিথি হিসেবে অভিনয় করেছিলেন।
পতৌদি প্রাসাদ, যার মূল্য আনুমানিক ৮০০ কোটি রুপি। ভারতের হরিয়ানায় অবস্থিত এই প্রাসাদের একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। ১৯৩০-এর দশকে সাইফ আলী খানের দাদা পতৌদির নবাব, ইফতিখার আলী খান পতৌদি নির্মাণ করেছেন এই প্রাসাদের। ১০ একর জায়গার ওপর নির্মিত প্রাসাদটির ১৫০টি কক্ষ রয়েছে। সাইফের পিতা মনসুর আলি খান পতৌদি এই প্রাসাদ ফ্রান্সিস ওয়াকজিয়ার্গ এবং আমান নাথকে ১৭ বছরের লিজ দিয়েছিলেন চুক্তিতে, যারা নিমরানা হোটেল নেটওয়ার্কের মালিক। ২০১৪ সালে সাইফ প্রাসাদটি পুনরুদ্ধার করেন। বর্তমানে সাইফ আলি খান এর তত্ত্বাবধানে রয়েছে এটি। হলিউডের ‘ইট প্রে লাভ লাভ’সহ মঙ্গল পান্ডে, বীর জারা, ‘গান্ধী: মাই ফাদার’ এবং ‘মেরে ব্রাদার কি দুলহান’-এর মতো বলিউড সিনেমার শুটিং হয়েছে এই প্রাসাদে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।