বিনোদন ডেস্ক : ধনসম্পত্তির দিক দিয়ে বলিউড তারকাদের সমকক্ষ অন্য কোনো ইন্ডাস্ট্রিই হতে পারবে না। কিন্তু অভিনয় করে ধনী হওয়া আর মুখে সোনার চামচ নিয়ে জন্মানো দুটো আলাদা ব্যাপার। দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়েন অভিনেতা সইফ আলি খান। আক্ষরিক অর্থেই তিনি নবাব। পতৌদিতে এখনো রয়েছে তাঁদের প্যালেস। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে মাঝেমধ্যেই সেখানে ঘুরে নবাবি ফলিয়ে আসেন সইফ।
অভিনেতা হিসাবেও তাঁর যথেষ্ট নামডাক রয়েছে। বিগত প্রায় ৩০ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন সইফ। অনেক কম বয়সে পা রেখেছিলেন তিনি অভিনয়ে। প্রথমে তেমন জনপ্রিয়তা না পেলেও সাইফের অভিনয় দক্ষতার পরিচয় পেতে বেশি সময় লাগেনি সিনেপ্রেমীদের।
আগের থেকে এখন ছবির পরিমাণ কমে গেলেও বিজ্ঞাপন, ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট থেকে কম উপার্জন হয় না অভিনেতার। সূত্রের খবর মানলে, সাইফের মাসিক উপার্জন ৩ কোটি টাকা। বছরে সেটা গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ৩০ কোটি টাকায়। এক একটি ছবির জন্য আনুমানিক ১০-১৫ কোটি পারিশ্রমিক নেন বছর ৫২-র অভিনেতা।
পাশাপাশি একাধিক বিজ্ঞাপনেও মুখ দেখান সইফ। সূত্রের খবর, বিজ্ঞাপন প্রতি প্রায় ২-৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক ধার্য করা রয়েছে অভিনেতার। আগে ফরচুন হাইটসের এক বিলাসবহুল আবাসনে থাকতেন সইফ করিনা। সঙ্গে দুই সন্তান তৈমুর ও জাহাঙ্গীর। কিন্তু এখন বান্দ্রায় নতুন আবাসনে শিফট করে গিয়েছেন তাঁরা।
তবে সাইফের আসল সম্পত্তি হল পতৌদি প্যালেস। তবে পৈতৃক সূত্রে এই সম্পত্তি পাননি তিনি। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে, টাকা খরচ করে তবে অভিজাত প্যালেসটি তাঁর দখলে এসেছে। এই প্যালেসের বর্তমান দাম প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। আর সাইফের মোট সম্পত্তির পরিমাণ আনুমানিক ১১৮০ টাকা। নবাব বেগম দুজনে মিলে সম্পত্তির নিরিখে যে অনেক তারকাকে টেক্কা দিতে পারবেন তা বলা বাহুল্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।