বিনোদন ডেস্ক : ১৯৯১ থেকে ২০০৪ সাল। ১৩ বছরের দাম্পত্য সুখকর ছিল না সাইফ আলি খান এবং অমৃতা সিংয়ের। তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তাঁদের কন্যা সারা আলি খান এখন বলেন, “খুব ভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মা বাবা। কারণ তাঁরা একসঙ্গে সুখী ছিলেন না।” সারা আর তাঁর ভাই ইব্রাহিম আলি খান মায়ের সঙ্গেই থাকেন। বাবার সঙ্গে মাঝে মধ্যে দেখা সাক্ষাৎ করেন।
সাইফ এবং অমৃতার দাম্পত্যকলহের কিছু উদাহরণ নিজেই দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তৎকালীন দম্পতি এক বার অভিনেত্রী সিমি গরেওয়ালের চ্যাট শো-তে অতিথি হিসেনে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানে অমৃতাকে প্রশ্ন করা হয়, সাইফ অন্যান্য নায়িকাদের সঙ্গে অভিনয় করতেন বলে কি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন অমৃতা? অকপটে জবাব দেন সাইফ এর প্রাক্তন স্ত্রী, “যদি বলি না, তা হলে মিথ্যে বলা হবে। মহিলারা যে ভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে, আমিও ভুগি।
এমনকি সে নিয়ে আমাদের মধ্যে অশান্তিও হয়। আমি চিৎকার করি, কান্নাকাটি করি। কখনও কখনও মনে হয়, সাইফ এর মাথায় ফ্রাইয়িং প্যান ভাঙি।” সাইফ তৎক্ষণাৎ বলেন, “আমার মাথা ফাটিয়েছে ও।” এ কথা স্পষ্ট নয়, সাইফ তখন রসিকতা করেছিলেন কিনা।
অমৃতা আরও জানান, তিনি নিজের মধ্যে থাকতে পছন্দ করেন। যার জন্য কেউ তাঁর সঙ্গে কথা বলার আগে দু’বার ভাবে। বরং সাইফ এর সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পরেই নাকি অনেক শান্ত এবং নমনীয় হয়েছেন অমৃতা। নিজেকে ‘বহেনজী’ বলেও আখ্যা দেন অভিনেত্রী।
অত্যন্ত তিক্ততার সঙ্গে দু’জনের বিভছেদ হয়। প্রকাশ্যে বিবাদও ঘটে তাঁদের। তার পরেই বেশ কয়েক বছর প্রেম করে ২০১২ সালে করিনা কপূরযে বিয়ে করেন সাইফ। এখন তাঁদের দু’টি পুত্রসন্তান হয়েছে। তৈমুর আলি খান এবং জাহাঙ্গির আলি খান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।