বিনোদন ডেস্ক : বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপরে হামলার অভিযোগে সন্দেহভাজন হিসেবে আকাশ কৈলাশ কানোজিয়া নামে এক যুবককে আটক করেছিল মুম্বাই পুলিশ। পুলিশের ভুলে সেই যুবক চাকরি হারিয়েছেন এবং বিয়ে ভেঙেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
হিন্দুস্তান টাইমসকে আকাশ কৈলাশ বলেন, “আমি পুলিশকে বলেছিলাম, সাইফ আলী খানের ওপর হামলার সঙ্গে আমার কোনো যোগ নেই। তাদেরকে আমার আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তাবও দিয়েছিলাম। তাদের সন্দেহ পরিষ্কার করার জন্য আমার বাড়ির কাছে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজও পরীক্ষা করতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা আমার কোনো কথায় কর্ণপাত করেননি। বরং তারা আমার ছবি তুলে গণমাধ্যমে প্রচার করে দাবি করে, আমিই হামলাকারী।”
১৯ জানুয়ারি ভোরে মুম্বাই পুলিশ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ ওরফে বিজয় দাসকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ দাবি করে, তিনিই ডাকাতির উদ্দেশ্যে সাইফ আলী খানের বাড়িতে ঢুকেছিলেন। পরের দিন সকালে পুলিশ কর্মকর্তারা কৈলাশকে ছেড়ে দেয়।
পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে কৈলাশ তার মাকে ফোন করেন। এ তথ্য স্মরণ করে তিনি বলেন, “মুক্তি পাওয়ার পর মায়ের সঙ্গে (মুম্বাইয়ে) কথা বলি, তখন তাকে খুব চিন্তিত দেখাচ্ছিল। কারণ সমস্ত নিউজ চ্যানেলে আমার ছবি দেখানো হয়েছিল। আমাকে অবিলম্বে বাড়ি ফিরে যেতে বলেন মা। পরের দিন, আমি আমার বসকে ফোন করি, তখন তিনি বলেন, ‘আপনি আইনি ঝামেলায় জড়িয়েছেন, আপনার কারণে সমস্যায় পড়তে চাই না।’ আমি তাকে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তিনি আমার কথা শুনতে রাজি ছিলেন না।”
এরপর কৈলাশকে তার দাদি ফোন করেন। তিনি জানান, টিভিতে খবর দেখে তার হবু বউয়ের পরিবার বিয়ে ভেঙে দিতে চেয়েছে। জবাবে কৈলাশ বলেছিলেন, “যা ঘটেছে তাতে আমি নিশ্চিত নই যে, ভবিষ্যতে বিয়ে করতে পারব কি না।”
মুম্বাইয়ে পশ্চিম রেলওয়েতে কর্মরত একটি ট্যুর সংস্থায় গাড়িচালক হিসেবে কাজ করতেন কৈলাশ। গত ১৭ জানুয়ারি মুম্বাই থেকে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন ছত্তিশগড়ের পৈত্রিকবাড়িতে যাওয়ার জন্য। কারণ তার দাদি অসুস্থ। তা ছাড়াও এ যাত্রায় কৈলাশের তার হবু বউয়ের পরিবারের সঙ্গে দেখা করারও কথা ছিল। কিন্তু যাত্রা পথে আটক হন কৈলাশ। পুলিশের এক ভুলে কৈলাশের সবই আজ দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।