জুমবাংলা ডেস্ক : ছাত্র আন্দোলনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ। নিজের ফেসবুকে তিনি অনেকটা ব্যাঙ্গাত্মকভাবেই ‘মাস্টারমাইন্ড’ নিয়ে কথা বলেছেন।
যেখানে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়কে আন্দোলনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এছাড়া জয়কে খোঁচা দিয়ে তিনি প্রিন্স চার্লসের রাজা হওয়ার ঘটনা তুলে ধরেন।
ফেসবুক পোস্টে সোহেল তাজ লিখেছেন, ‘আজকে পত্রিকায় পড়লাম বিএনপির নেতা শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন যে, ছাত্র-জনতার অভুত্থানের ‘মাস্টারমাইন্ড’ তারেক রহমান। আবার জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান সাহেব বলেছেন, ‘এই গণঅভ্যুত্থানের কৃতিত্ব ছাত্র-জনতার, কোনো দলের নয়।’ আবার কিছুদিন আগে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘এই গণঅভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড হচ্ছে মাহফুজ।’
তিনি লেখেন, ‘আশ্চর্য হবার কিছুই থাকবে না যদি কয়েকদিন পর শোনা যায় যে আসল ‘মাস্টারমাইন্ড’ হচ্ছে সজীব ওয়াজেদ জয়।’
সোহেল তাজ স্মরণ করিয়ে দেন- ‘আমাদের সবার নিশ্চই মনে আছে, বেচারা প্রিন্স চার্লস-এর কত বছরই না অপেক্ষা করতে হয়েছিল রাজা হবার জন্য।’
তবে সোহেল তাজের এই স্ট্যাটাস ঘিরে চলছে নানান বিতর্ক। অনেকেই তার এমন বক্তব্য সহজভাবে নিতে পারেননি।
আরিফা রহমান রুমা নামের একজন লিখেছেন, ‘বঙ্গতাজের জন্য কষ্ট হচ্ছে। আপনার পরিবারের অনেকেই আমার ঘনিষ্ট। আপনার প্রোপার চিকিৎসা কেন করাচ্ছে না , বুঝলাম না।’
কেউ লিখেছেন, ‘আমার মনে হয়, আপনার নামও থাকতে পারে এই লিস্টে।’
অন্য আরেকজন লিখেছেন, ‘কমেন্ট দেখে আমি হতভাগ। এক সময় খুব পছন্দ করতাম স্যার আপনাকে।’
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দুই মাসের মাথায় এখন এ আন্দোলনের কৃতিত্বের দাবি নিয়ে কথা উঠেছে। আলোচনা হচ্ছে আন্দোলনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ কে বা কারা সেটি নিয়ে।
নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বমঞ্চে তার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে এই আন্দোলনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। মূলত এর পর থেকেই ‘মাস্টারমাইন্ড’ শব্দটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
এরপর গতকাল শনিবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু দাবি করে বলেছেন, ‘এই আন্দোলনের একমাত্র মাস্টারমাইন্ড হচ্ছেন তারেক রহমান। কার্যকর আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য যা করার দরকার সবই তিনি করেছেন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।