বিনোদন ডেস্ক : এবারের ঈদে দর্শকের আনন্দ দ্বিগুণ করতে মুক্তি পেয়েছে প্রায় এক ডজন সিনেমা। ঈদের পুরো সময়টাজুড়ে এই সিনেমা হল থেকে ওই হলে গিয়ে বিনোদন কুড়িয়েছেন দর্শক। বড়-বড় তারকায় মুখরিত সিনেমাগুলোর কোনটি রেখে কোনটি দেখবেন, সেই হিসাব মেলাতে দ্বিধায় পড়তে হয়েছে ঢালিউডপ্রেমীদের। দর্শকের কথা মাথায় রেখে ঈদ পরিকল্পনা সাজিয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্স।
ঈদের আনন্দটুকু দর্শকের সঙ্গে সুন্দরভাবে ভাগ করে নিতে নিজেদের শিডিউল সাজিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
স্টার সিনেপ্লেক্সের সাতটি শাখায় প্রদর্শন হচ্ছে ঈদের নতুন ৮ সিনেমা। সেগুলোর মধ্যে মধ্যে শুরুতে সবচেয়ে বেশি শো পায় মিশুক মনি পরিচালিত ‘দেয়ালের দেশ’। শরিফুল রাজ ও শবনম বুবলীর অভিনীত এই ছবিটি সিনেপ্লেক্সের সব শাখা মিলিয়ে প্রতিদিন ১৭টি শো প্রদর্শন হচ্ছিল।
‘দেয়ালের দেশ’র পর সর্বোচ্চ ১৩টি করে শো পায় হিমেল আশরাফের সিনেমা ‘রাজকুমার’ এবং গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’। এ ছাড়া ‘ওমর’ পেয়েছে ১১টি শো, ‘মোনা: জ্বীন ২’ সাতটি, ‘মেঘনা কন্যা’ দুটি, ‘গ্রিন কার্ড’ দুটি এবং ‘আহারে জীবন’ পায় তিনটি শো। কিন্তু এখন সব হিসাব-নিকাশ বদলে গেছে। মুক্তির চারদিনের মাথায় দর্শক খরায় ৩ ছবির প্রদর্শনী বন্ধ করে দেয় সিনেপ্লেক্স। বাকি ৪ ছবি দিয়ে ঈদ উদযাপন করছে প্রতিষ্ঠানটি।
শুরুতে বুবলীর দেয়ালের দেশের চেয়ে শাকিবের রাজকুমারের শোয়ের সংখ্যা ছিল কম। কিন্তু সপ্তাহ না পেরোতেই পাশার দান গেল উল্টে। দর্শক খরায় মুখ থুবড়ে পড়ল বুবলীর ‘দেয়ালের দেশ’। এতে সিনেপ্লেক্সে সিনেমাটির শো কমিয়ে নামিয়ে আনা হয় মাত্র ৬টিতে। অন্যদিকে দর্শকের বিপুল চাহিদা পূরণ করতে শাকিবের রাজকুমারের শো বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৫টি।
এর আগের মুক্তির দ্বিতীয় দিনেই রাজশাহীর শেখ মুজিব হাইটেক পার্কের হলে বুবলীর ‘অচল’ সিনেমাটি দর্শক খরায় শো বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। সেখানেও শাকিবের রাজকুমাই চালাচ্ছে হল কর্তৃপক্ষ। এটিকে শাকিবের সিনেমার কাছে বুবলীর ছবির অসহায় আত্মসমর্পণ হিসেবে দেখছেন অনেকে।
‘দেয়ালের দেশ’ সিনেমার ট্রেলারে দেখা যায় নিম্নবিত্ত দুজন মানুষ রাজ ও বুবলীর মধ্যে প্রেম হয়। ঘটনাচক্রে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন বুবলী। এরপর তার লাশ নিয়েই বসবাস শুরু করেন রাজ। ট্রেলার ও গান প্রকাশের পর দেয়ালের দেশ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছুটা আলোচনা সৃষ্টি হয়। কিন্তু দিন যতই গড়িয়েছে নিজের পতন দেখছে দেয়ালের দেশ। ইতোমধ্যে ফ্লপ তকমাও জুটে গেছে বুবলীর সিনেমাটির ভাগ্যে। এতে অভিনয় করে সুপারফ্লপ নায়িকার তকমাটি চিরস্থায়ী হয়েছে নায়িকা বুবলী নামের পাশে।
বুবলীর সিনেমার শো সংখ্যা কমানোর বিষয়ে স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে কোনো মন্তব্য মেলেনি। ঘনিষ্ঠসূত্র জানায়, রাজকুমারের জয়জয়কার দেখে সেখানে শাকিবের সিনেমার শো আরও বাড়ানো হবে।
ঈদুল ফিতরে দেশের ১২৭টি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ‘রাজকুমার’। দেশের বাইরেও দাপট দেখাচ্ছে সিনেমাটি। যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার ৭৫ থিয়েটারে মুক্তি পাচ্ছে শাকিবের এই ছবিটি। দেশের পর এবার প্রবাসী বাংলা ভাষাভাষীদের মনজয় করবে ‘রাজকুমার’ এমনটাই প্রত্যাশা ছবির প্রযোজক আরশাদ আদনানের।
জানা গেছে, সিনেপ্লেক্সে রাজকুমারের পর দর্শক চাহিদায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে শরিফুল রাজের ‘ওমর’ সিনেমাটি।
এদিকে ঈদে বুবলীর মুক্তি পাওয়া আরেক সিনেমা মায়া-দ্যা লাভও দর্শক খরায় ভুগছে। এককথায় শনির দশায় পড়েছেন নিজেকে কথায় কথায় শিক্ষিত দাবি করা এই নায়িকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।