বিনোদন ডেস্ক : একলা থাকা আর কতদিন? তাইতো বিয়ে করে ফের সংসার সাজাতে চলেছেন বাংলাদেশি সুপারস্টার শাকিব খান। সম্প্রতি আমেরিকা থেকে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা অভিনেতা নিজেই জানান। এও বলেন, বর্তমানে পরিবার থেকে তার জন্য পাত্রী খোঁজা হচ্ছে। সব ঠিকঠাক হলে আগামী বছর তার বিয়ে।
শাকিব খান তো জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন, তার সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাস কী করবেন? শনিবার দেশের একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্ন উঠতেই বোমা ফাটালেন নায়িকা। জানিয়ে দিলেন নিজের সিদ্ধান্ত। বললেন, শাকিব খান বিয়ে করলে তিনিও বিয়ে করবেন।
অপু বিশ্বাস বলেন, ‘জীবন তো আর একাকী চলে না। আমিও বিয়ে করব। তবে এখনই নয়। হাতে অনেক কাজ জমা আছে। সব দায়িত্ব শেষ করে আদর্শবান ও কেয়ারিং একজন মানুষ খুঁজে নিয়ে তার গলায় ভালোবাসার মালা পরাতে চাই। আজীবন সুখ আর শান্তির বন্ধনে আবদ্ধ হতে চাই।’
জীবনকে যন্ত্রের সঙ্গে তুলনা করে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আসলে জীবন হচ্ছে একটা যন্ত্রের মতো। যতক্ষণ ওটা নড়াচড়া করে ততক্ষণই বুঝতে হবে তাতে প্রাণ আছে। যখন ওটা থেমে যাবে তখনই বুঝতে হবে তার মরণ হয়েছে। আমি জীবন-যন্ত্রটাকে সহজে মরতে দিতে চাই না।’
কিন্তু শাকিব খান বিয়ে করলে তার অনুভূতি কী হবে? অপু বিশ্বাস বলেন, ‘শাকিব খান বিয়ে করবে, এটা অবশ্যই সুখবর। সে বিয়ে করবে আর আমরা সবাই তার বিয়ের আনন্দ নিয়ে মেতে উঠব। এটাই তো চাই। শাকিবের বিয়েতে আমি আর জয় (শাকিব খানের ছেলে) মহা আনন্দ করব।’
একসময় ঢালিউডের অন্যতম সেরা জুটি ছিলেন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। জুটি বেঁধে তারা ৭০টিরও বেশি সিনেমা উপহার দিয়েছেন। যার বেশির ভাগই দর্শকপ্রিয় ও ব্যবসাসফল। দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজের সুবাদেই তারা একে অন্যের কাছাকাছি আসেন, সম্পর্কে জড়ান। ২০০৮ সালে বিয়েও করেন।
কিন্তু দীর্ঘ ৯ বছর সে খবর গোপন রাখেন তারকা জুটি। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতার একটি হাসপাতালে জন্ম হয় শাকিব-অপুর ছেলে আব্রাম খান জয়ের। গোপন রাখা হয় এ খবরও। অবশেষে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল ছেলে জয়কে নিয়ে একটি টিভি চ্যানেলের লাইভ অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে সবকিছু প্রকাশ করেন অপু বিশ্বাস।
এ ঘটনায় শাকিব খান প্রথমে ক্ষুব্ধ হলেও পরে সব স্বীকার করেন। কিন্তু ঘটনার সাত মাসের মাথায় ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর আইনজীবীর মাধ্যমে অপুকে তালাকের নোটিশ পাঠান শাকিব খান। অভিনেতা সে সময় অভিযোগ তুলেছিলেন, ছেলে জয়কে ঢাকায় কাজের মেয়ের কাছে ফেলে অপু বয়ফ্রেন্ড নিয়ে কলকাতায় ঘুরতে গেছেন।
পরে অপু বিশ্বাস কলকাতা থেকে ফিরে এসে শাকিব খানের সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। বলেন, তিনি কলকাতায় ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন। কারও সঙ্গে ঘুরতে যাননি। ছেলে জয়কে শাকিবের কোনো আত্মীয়ের কাছে রেখে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না। তাই কাজের মেয়ের কাছে রেখে গিয়েছিলেন।
কিন্তু অপুর এই ব্যাখ্যা কানে তোলেননি শাকিব খান। নড়েননি নিজের সিদ্ধান্ত থেকেও। পরবর্তীতে তারকা দম্পতির সংসার টেকাতে উদ্যোগী হয়েছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। তিন দফায় তারা সালিশি বৈঠকও ডেকেছিল। কিন্তু প্রতিবার সেই বৈঠকে অপু বিশ্বাস উপস্থিত হলেও দেখা মেলেনি শাকিব খান বা তার পরিবারের কাউকে।
অবশেষে ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তালাকের নোটিশ পাঠানোর ৯০ দিন পার হলে আইনগতভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ কার্যকর হয়ে যায় শাকিব-অপুর। এর পরও বিভিন্ন সময়ের তাদের একসঙ্গে দেখা গেছে, তবে সেটা শুধু ছেলে জয়ের সৌজন্যে। তাছাড়া প্রায় অর্ধযুগ শাকিব-অপু জুটি বেঁধে কোনো সিনেমাও করেননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।