বিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই সিনেমার অন্যতম সেরা জুটি অপু বিশ্বাস-শাকিব খান। একসঙ্গে অভিনয় করে দর্শকদের উপহার দিয়েছেন অনেক সুপারহিট সিনেমা। সিনেমায় অভিনয় করতে করতে বাস্তব জীবনেই দুজন জড়িয়ে যান প্রেমের সম্পর্কে। অবশেষে ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন তারা। ওই সময় কাজিকে দুই দিন লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য দিয়েছেন শাকিব-অপুর বিয়ের সাক্ষী প্রযোজনা ব্যবস্থাপক মামুনুজ্জামান মামুন।
হুট করেই নাকি বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শাকিব-অপু। মামুনকে কাজি ডাকতে বললেও তিনি ভরসা পাচ্ছিলেন না। তার ধারণা ছিল যেকোনো সময় মত বদলাবেন তারা। যার কারণে তিনিই লুকিয়ে রেখেছিলেন কাজিকে।
মামুন বলেন, ‘মনে প্রাণে আছো তুমি’ ছবির শুটিং চলা অবস্থাতেই শাকিব-অপু বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তখন মিরপুর শাহ আলী মাজার রোডের একটি বাসায় থাকতেন অপু। হঠাৎ করেই একদিন শাকিব তার কালো রঙের গাড়িতে করে আমাকে সেখানে নিয়ে গেলেন। সেখানেই তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। পরে দুজন বিষয়টি আমাকে জানালেন এবং কাজি ডাকতে বললেন। আমি শাকিবকে বললাম, বিয়ে তো অনেক বড় ব্যাপার, ভেবেচিন্তে কাজটি করেন। অপুকেও একই কথা বললাম। কিন্তু দুজনেই সিদ্ধান্তে অটল।
তারা বললেন, বিয়ের সংবাদ গোপন থাকবে। একসময় বড় অনুষ্ঠান করে সবাইকে জানাব আমরা। বিয়ের পুরো বিষয়টি তখন কেবল অপুর মেজ বোন লতা ও শাকিবের চাচাতো ভাই মনির জানতেন। লতাও আমাকে বললেন, তারা যখন চাইছে, তখন আপনি কাজি ডাকেন।
কাজি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি এর মধ্যে ফরিদপুরে শাকিবের বাড়ির কাছ থেকে মজিবুর রহমান নামের এক কাজিকে নিয়ে আসি। তারা সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেন ভেবে কাজিকে ঢাকায় এনে দুদিন গোপন করে রাখলাম! দেরি দেখে অপু আমাকে বললেন, কাজি আনছেন না কেন? শাকিব কি আমাকে বিয়ে করতে চাচ্ছে না? আবার শাকিবেরও একই জিজ্ঞাসা, অপু কি আমাকে বিয়ে করতে চাচ্ছে না?
বাধ্য হয়ে শাকিব-অপুর বিয়ের প্রস্তুতি শুরু করেন মামুন এমনটা উল্লেখ করে বলেন, বাধ্য হয়ে তাদের বিয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করলাম। বিয়ের আগের দিন শাকিব অপুর জন্য একটি হীরার সেট ও একটি লেহেঙ্গা কিনেছিলেন। শাকিব এখন যে বাসায় থাকেন, ওই বাসায় বিয়ের ব্যবস্থা করা হলো।
আসরের নামাজের ঠিক আগে আগে বিয়ে পড়ানোর সিদ্ধান্ত হলো। আমি কাজিকে নিয়ে গেলাম। এরই মধ্যে অপু ও তার বোন লতা এসে হাজির হলেন। বিয়ের সময় আমি অপুর উকিল বাবা হিসেবে কাবিননামায় স্বাক্ষর করি। লতাও অপুর পক্ষে সই করেন। আর শাকিবের চাচাতো ভাই মনির সই করেন তার পক্ষে। বিয়ের দেনমোহর বড় অংকে হয়েছিল। অংকটা না হয় বললাম না। তবে ওই সময় অপু বলেছিলেন, দেনমোহর দিয়ে কী হবে, সংসারটাই বড়। বিয়ের ঘণ্টা দুয়েক পর অপু ও লতা তাদের বাড়িতে চলে যান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।