জুমবাংলা ডেস্ক : হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সোনায় মোড়ানো জিলাপির অর্ডার নেয়া হঠাৎ করেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ বছরে তাদের বিশেষ আয়োজন ছিল এই সোনায় মোড়ানো জিলাপি। প্রতি কেজি জিলাপির দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০ হাজার টাকা।
গত ৪ঠা এপ্রিল মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টের মাধ্যমে জানানো হয়, সোনায় মোড়ানো বিশেষ এক জিলাপির কথা। যার প্রতি কেজির দাম নির্ধারণ করা হয় ২০ হাজার টাকা। এর মাত্র সাত দিনের মাথায় গত ১০ এপ্রিল (সোমবার) বেলা ১১টার পর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা জানায়, ‘গোল্ড জিলাপি সোল্ড আউট।’ অর্থাৎ সোনায় মোড়ানো বিশেষ জিলাপি বিক্রি শেষ হয়েছে।
কেনো বন্ধ হলো সোনায় মোড়ানো সেই জিলাপি বিক্রি- এ প্রশ্নের উত্তরে হোটেলের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যকে জানান, জিলাপি তৈরির জন্য খাওয়ার যোগ্য যে পরিমাণ সোনা আনা হয়েছিল, তা শেষ হয়েছে। এ কারণে নতুন করে কোনো অর্ডার নেয়া হচ্ছে না। তবে এক সপ্তাহে কী পরিমাণ জিলাপির অর্ডার পেয়েছেন সে সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে চায়নি হোটেল কর্তৃপক্ষ।
হোটেলের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, গত এক সপ্তাহে আমরা বেশ ভালো সাড়া পেয়েছি। যদি আমরা আবার অর্ডার নেওয়া শুরু করি তবে জানাবো।
পবিত্র রমজান উপলক্ষে গ্রাহকদের বিশেষ খাবার উপহার দিতে সোনার পাতলা আবরণ দিয়ে মোড়ানো জিলাপি বিক্রির উদ্যোগ নেয় ইন্টারকন্টিনেন্টাল কর্তৃপক্ষ। প্রতি কেজি জিলাপিতে ২৪ ক্যারেটের খাওয়ার উপযোগী সোনার ২০ থেকে ২২টি লিফ বা অংশ থাকবে, এমন কথা জানিয়েছিলেন হোটেলের কর্মকর্তারা। একজন গ্রাহকের জন্য ন্যূনতম ২৫০ গ্রাম জিলাপি কেনার সুযোগ ছিল।
অলংকার তৈরিতে সোনার ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হলেও খাওয়ারযোগ্য সোনাও রয়েছে। সেই বিশেষ ধরনের সোনাই ব্যবহার করা হয়েছিল হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের এ জিলাপির রেসিপিতে।
এর আগে গত বছরের জুলাই মাসে দেশে সোনায় মোড়ানো আইসক্রিম বিক্রির খবর বেশ সাড়া ফেলেছিল। রাজধানীর বনানীর পাঁচ তারকা হোটেল সারিনা তাদের ১৯তম বর্ষপূর্তিতে বিশেষ ওই আইসক্রিম বিক্রি করে। ২৪ ক্যারেটের খাওয়ারযোগ্য সোনা দিয়ে তৈরি ওই আইসক্রিমের দাম ছিল ৯৯ হাজার ৯৯৯ টাকা।
খাবারে বা পানীয়তে সোনার চূর্ণ ছড়িয়ে দেওয়ার ধারণা শুরু হয়েছিল সেই ১৬শ শতাব্দীতে। আজকের আধুনিক যুগে সুস্বাদু সোনায় মোড়ানো ডোনাট, সোনার ফলকে পিৎজা আর সোনার পাতে মোড়ানো বার্গার পাওয়া যায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। খাবারে যে সোনা দেওয়া হয় সেটিকে অবশ্যই শতভাগ খাঁটি বা ২৪ ক্যারেটের হতে হয়। ২৪ ক্যারেটের সোনা না হলে তাতে প্রয়োগের ওপর নির্ভর করে রূপা, ব্রোঞ্জ, তামা বা টিনের মত অন্য ধাতুর খাদ মেশানো থাকে৷ অশুদ্ধ সোনা খাওয়া অত্যন্ত বিপজ্জনক, এর মধ্যে অন্য ধাতুর খাদ মেশানো থাকায় সেটি শরীরে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।