জুমবাংলা ডেস্ক : চলতি বছরের জুন-জুলাইয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি। বিগত দিনের তুলনায় মৃত্যুহার বেশি চলতি বছর। ডেঙ্গু পজিটিভ রোগীর পানিশূন্যতা, রক্তের ঘনত্ব স্বাভাবিক রাখাসহ নানা উপসর্গে রোগীর শিরায় দিতে হচ্ছে স্যালাইন।
তবে দিন দিন রোগী বাড়তে থাকায় বাজারে হঠাৎই দেখা দিয়েছে স্যালাইন সংকট। রাজধানীর ওষুধের দোকানগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে না স্যালাইন। কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও চাহিদার বিপরীতে তা অপ্রতুল।
ওষুদের দোকানিরা বলছেন, এক সপ্তাহ ধরে স্যালাইন পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ১৫-২০ দিন ধরে স্যালাইনের এই সংকট চলছে। বিশেষ করে নরমাল স্যালাইনের সংকট বেশি। ওটা ডেঙ্গু রোগীদের বেশি প্রয়োজন হয়।
ওষুধ কোম্পানিগুলো বলছে, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন হচ্ছে না স্যালাইন। যদিও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, সামনে স্বাভাবিকের তুলনায় দশ গুণ বেড়ে যেতে পারে চাহিদা।
হঠাৎ করে ডেঙ্গু বেড়ে গেছে। তাই চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন হচ্ছে না। সক্ষমতা অনুযায়ী উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত উৎপাদন না হওয়ায় এ সংকট দেখা দিয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এখন তিন গুণের চেয়েও চাহিদা বেড়ে গেছে। চাহিদা দশ গুণও হবে। তাই যারা বেসরকারিভাবে এটা তৈরি করেন, তারাও যেন উৎপাদনের পরিমাণটা বাড়িয়ে দেন। এতে চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।’
সংকট কাটাতে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মৃত্যুহার বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এবার রাজধানীর পাশাপাশি গ্রামেগঞ্জেও ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে ডেঙ্গু। এ অবস্থায় মশকনিধন ও সচেতনতার বিকল্প দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।