বিনোদন ডেস্ক : ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির সেটেই মন দেওয়া নেওয়া হয়েছিল ঐশ্বর্য ও সালমানের। প্রাক্তন মিস ওয়ার্ল্ড-এর প্রেমে রীতিমত হাবুডুবু খেতেন সালমান। তবে এই সম্পর্ক খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি, ২ বছরের মাথায়ই তাতে চির ধরে। এই ভালোবাসাই কার্যত ঐশ্বর্যর ফিল্মি ক্যারিয়ারের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল এক সময়।
সালমানের সাথে সম্পর্ক শেষ হওয়ার পর শাহরুখও বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি। এই জন্য টানা বেশ কয়েকটি ছবি ঐশ্বর্যের কাছে অফার গেলেও শাহরুখ তা বাতিল করে দেন। এজন্য ঐশ্বর্য বিস্ফোরক অভিযোগও তুলেছিলেন। সালমান এবং ঐশ্বর্যের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার নেপথ্যে অনেক কারণ ছিল বলে জানা যায়।
সেই সময় যারা তাদের কাছ থেকে দেখেছিলেন, তাদের একাংশের দাবি ঐশ্বর্যের সঙ্গে সালমান খানের সম্পর্কের ভীত প্রথম থেকেই নড়বড়ে ছিল। সালমানের জন্যই নাকি ঐশ্বর্যকে একের পর এক ছবি থেকেও নাকি বাদ পড়তে হয়েছিল। এর মধ্যে বেশিরভাগ ছবি ছিল শাহরুখের সঙ্গে।
এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে ঐশ্বর্য বলেছিলেন, ‘শাহরুখের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবি করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তাঁকে কিছু না জানিয়েই রাতারাতি সব ছবি থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এর নেপথ্যের কারণ তিনি সেদিন পর্যন্তও জানতে পারেননি। তাঁকে কোনো রকম কৈফিয়ত দেওয়ার প্রয়োজন কেউ মনে করেনি।’
‘চলতে চলতে’ চলচ্চিত্রের মধ্যে দিয়েই শুরু হয়, তার হাত থেকে বাদ যায় গোটা পাঁচেক ছবি। এর মধ্যে ‘বীরজারা’ও ছিল অন্যতম। এই পাঁচটি ছবি পরবর্তীকালেও বক্স অফিসে তুমুল সাফল্য অর্জন করে। তিনি পরে একটি এক মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী ঐশ্বর্য বলেন, একের পর এক ছবি থেকে তাকে বাদ দেওয়া হওয়ায় তখন তার ক্যরিয়ারে প্রবল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়’।
এই পর্যায়ে একটাই প্রশ্ন জাগে তা হল, হঠাৎ ঐশ্বর্যর মতো একজন প্রথম সারির অভিনেত্রীকে পাঁচ-পাঁচটা ছবি থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল কেন? এর উত্তর হল, এর পিছনেও ছিল ভাইজানের হাত। আসলে সালমান খানের সঙ্গে ঐশ্বর্যর সম্পর্ক ভাঙার পর বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। সেই রাগেই নাকি প্রিয় বন্ধু শাহরুখকে তিনি বলেছিলেন ঐশ্বর্যকে বাদ দিতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।