বিনোদন ডেস্ক : বাবা নামজাদা চিত্রনাট্যকার। ফলে সিনেমার সঙ্গে আজন্ম একটা যোগসূত্র ছিল। কিন্তু শিল্প এমন এক মাধ্যম, যেখানে নিজের চেষ্টা-যোগ্যতা ছাড়া টিকে থাকা যায় না। তাই রূপালি জগতে পা রাখার আগে থেকেই ‘সংগ্রাম’ নামের শব্দকে আগলে নিয়েছেন। আর সেটাকে পুঁজি করেই চলছেন পথ, তিন দশক পেরিয়ে, আজও।
তখন তার বয়স মাত্র ২৩ বছর। সুযোগ হলো প্রথমবার সিনেমায় অভিনয় করার। ছবির নাম ‘বিবি হো তো অ্যায়সি’। এখানে তিনি পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করেন স্বপ্নের বলিউডে। পরের বছরই মূল নায়ক হিসেবে তার অভিষেক হয় ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবির মাধ্যমে। আর অভিষেকেই বাজিমাত। ছবিটি ওই বছরের সর্বোচ্চ আয়কারী হিন্দি সিনেমার তকমা পায়।
কিন্তু নায়ক হিসেবে দাপুটে অবস্থান তৈরিতে তার সময় লেগেছে আরও কয়েক বছর। নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে ‘আন্দাজ আপনা আপনা’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘করন অর্জুন’, ‘জুড়ুয়া’, ‘পেয়ার কিয়া তো ডারনা কিয়া’ ইত্যাদি ছবি তাকে বলিউডের প্রথম সারির নায়কে পরিণত করে।
পরবর্তী সময়ে তিনি উপহার দিয়েছেন ‘পার্টনার’, ‘নো এন্ট্রি’, ‘ম্যায়নে পেয়ার কিউ কিয়া’, ‘ওয়ান্টেড’, দাবাং ফ্র্যাঞ্চাইজি (তিনটি সিনেমা), টাইগার ফ্র্যাঞ্চাইজি (তিনটি সিনেমা), ‘রেডি’, ‘বডিগার্ড’, ‘কিক’, ‘বজরঙ্গি ভাইজান’, ‘সুলতান’র মতো দর্শকনন্দিত ও সফল সিনেমা।
ছবিগুলোর নাম দেখে সবারই জানা হয়ে গেছে, কার বন্দনা চলছে। হ্যাঁ, তিনি সালমান খান। বলিউডের ভাইজান কিংবা দিল দরিয়া মানুষ, সুপারস্টার সালমান খান। অবশ্য তিনি নিজেকে সুপারস্টার ভাবতে নারাজ। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্টই জানালেন সে কথা।
সালমানের ভাষ্য, ‘আমি সেভাবে কখনও ভাবিনি। নিজেকে কখনও সুপারস্টার মনে হয়নি। আমার অভ্যাসগুলো কোনও সুপারস্টারের মতো নয়। আমি যেভাবে চলাফেরা করি, যেসব পোশাক পরি, এমন কিছু নেই, যেটাতে বোঝা যায় আমি সুপারস্টার। আমার চিন্তাজগত ওভাবে সাজানো না। আমার কোনও কিছুই সুপারস্টারের মতো না। আমি মনে করি না, সালমান খান একজন সুপারস্টার। এগুলো একদম বাজে কথা। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ কফিতে দিনটা শুরু করতে পারলেই আমি আনন্দিত। আর কাজের ক্ষেত্রে নিজের সর্বোচ্চটা দিতে চাই।’
দর্শকপ্রিয়তা আর বক্স অফিসের সাফল্যই সালমান খানের ক্যারিয়ারের মূল অর্জন। কারণ পুরস্কার ভাগ্য তার প্রসন্ন হয়নি কোনও কালে। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মোটে একবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন; তাও পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের জন্য। ‘কুচ কুচ হোতা হ্যায়’ নামের সেই ছবির কেন্দ্রীয় তারকা শাহরুখ খান, কাজল ও রানি মুখার্জি। এর বাইরে তিনবার স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডস ও দুইবার আইফা অ্যাওয়ার্ডস পেয়েছেন সালমান।
হঠাৎ সালমান খানের খতিয়ান খোলার কারণ, আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) তার ৫৮তম জন্মদিন। ১৯৬৫ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সালমানকে সর্বশেষ বড় পর্দায় দেখা গেছে গত নভেম্বরে মুক্তি পাওয়া ‘টাইগার ৩’ সিনেমায়। ছবিটি বক্স অফিসে চমকপ্রদ কিছু দেখাতে না পারলেও লগ্নি তুলতে সফল হয়েছে। মনীশ শর্মা নির্মিত এ ছবিতে তার সঙ্গে আছেন ক্যাটরিনা কাইফ ও ইমরান হাশমি।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও উইকিপিডিয়া
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।