বিনোদন ডেস্ক : বলিউড প্রেমগুরু সালমান খানের বয়স প্রায় ষাটের ঘরে পৌঁছে গেলেও, এখনও অব্দি তিনি বিয়ে করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেননি। যৌবন বয়সে একাধিক প্রেমের সাথে নিজের নাম জড়ালেও বিয়ের মন্ডপে তা কখনোই পৌঁছায়নি।
সেই বিতর্কের মধ্যে অন্যতম একটি হল সালমান খান এবং অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাইয়ের প্রেমের গল্প। একসময় তাঁদের জুটি ছিল সুপার ডুপার হিট। তাঁদের ভালোবাসার উদাহরণ দেওয়া হত প্রত্যেক কাপেলকে। দুজনের মধ্যে এতটাই গভীর প্রেম ছিল যে কেউ কোনদিন স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি এই সম্পর্ক পরিণতি পাবে না। তবে বিচ্ছেদ কেন হয়েছিল, এই নিয়ে এখনও অব্দি অনেকের স্পষ্ট ধারণা নেই। খবর ভারত বার্তার।
জানিয়ে রাখা ভাল, জনপ্রিয় বলিউড সিনেমা “হাম দিল দে চুকে সানাম” সিনেমায় কাজ করার সময় একে অপরের কাছে এসেছিলেন সালমান খান এবং ঐশ্বরিয়া রাই। তাঁদের মধ্যে এমন মিষ্টি সম্পর্কের গুঞ্জন রীতিমতো দাবানলের মতো ছড়িয়ে গিয়েছিল গোটা বলি ইন্ডাস্ট্রিতে। তবে খুব তাড়াতাড়ি তাদের এই সম্পর্ক শেষের পথে চলে আসে। কেন বিচ্ছেদ হয় এই নিয়ে অনেক মতভেদ থাকলেও জানা যায় ঐশ্বরিয়া রায়ের বেশকিছু শর্তের কারণে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ থেকে সরে দাঁড়াতে হয় বলিউড ভাইজানকে। শর্ত জানতে আজকের এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
সালমান খান তখন তাঁর পুরো পরিবারের সাথে মুম্বাইয়ে বসবাস করতেন। অভিনেতার পরিবারের সাথে সময় কাটানো বেশ পছন্দের ছিল। কিন্তু শোনা যায় ঐশ্বরিয়া রাই বলিউড ভাইজানকে বিয়ের পর পরিবার ছেড়ে বেরিয়ে আসতে বলেছিলেন। এই নিয়ে তাদের মধ্যে সমস্যা শুরু হয় এবং ক্রমশ সম্পর্ক ফিকে হয়ে যায়। তবে এখানেই শর্ত শেষ নয়। জানা যায়, বিয়ের পর ঐশ্বরিয়া চেয়েছিল সালমান খান যাতে না তার ভাইয়ের ব্যবসায় টাকা বিনিয়োগ করে। এই শর্ত শুনে আরও বেশি রেগে গিয়েছিলেন বলিউড দাবাং।
শ্রমিকরা মাটি খুঁড়তেই বেড়িয়ে এলো কোটি কোটি টাকার প্রাচীনকালের স্বর্ণমুদ্রা
ঐশ্বরিয়া রাইয়ের এই সমস্ত শর্ত সালমান খান মেনে নিতে পারেননি। পরিবার এবং ভাইকে ছেড়ে তিনি নিজের ভালোবাসাকে গুরুত্ব দেননি। এই সমস্ত শর্তের কারণে দীর্ঘদিন ধরে সালমান খান ও ঐশ্বরিয়ার মধ্যে মতভেদ চলেছিল। তবে মতভেদ থেকে জন্ম নেয় দূরত্ব এবং ক্রমেই তাদের সম্পর্কের রং ফিকে হয়ে যায়। শেষপর্যন্ত ২০০২ সালে এই বলিউড জুটির ব্রেকআপ হয়ে যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।