বিনোদন ডেস্ক : সামান্থা রুথ প্রভু, ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী। অভিনয়ের জন্য প্রায়ই তিনি সংবাদের শিরোনাম হতেন, তবে সবকিছু ছাপিয়ে তাকে আলোচনা শুর হয় বিবাহবিচ্ছেদের পর।
দক্ষিণী তারকা নাগা চৈতন্যের সঙ্গে প্রেমের পর বিয়ে। এরপর বিচ্ছেদ। তাদের বিবাহবিচ্ছেদের খবরে যখন গণমাধ্যম সয়লাব, তখন ধরা পড়ে সামান্থার বিরল রোগ।
সব খবর ছাপিয়ে প্রকাশ্যে আসে মায়োসাইটিস নামের সেই রোগের কথা। এই রোগের কারণে শুরুতেই কাজ থেকে সরে দাঁড়াননি দক্ষিণী অভিনেত্রী। অবশ্য পরে কিছুটা সুস্থ আবার অভিনয়ে ফেরেন তিনি।
তবে কোনও কিছুর জন্যই পেশাদার জীবনকে অবহেলা করতে চান না সামান্থা। তবে কি তার কর্মনিষ্ঠাই তাকে নিয়ে এসেছে এত দূর?
এক বছর মায়োসাইটিস নিয়ে লড়াইয়ের পর মুখ খুললেন সামান্থা। অভিনেত্রীর দাবি, একটি রোগ এসে তার জীবন বদলে দিয়েছে। নিজেকে পরীক্ষার মুখে ফেলতে পেরেছিলেন তিনি। তাতে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছেন। চিকিৎসায় আছেন এখনও, ধীরে ধীরে আরোগ্যলাভ করছেন। তবে দীর্ঘ সময় ধরে শারীরিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে তাকে। কারণ এই রোগে পেশিতে প্রদাহ বাড়ে। সুস্থ হতে বেশ কিছুটা সময় লাগছে তার। অসুস্থতাকে হার মানিয়েই রাজ এবং ডিকে’র ‘সিটাডেল’ সিরিজের শুটিং শেষ করেন তিনি।
মাঝে বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনায় প্রার্থনা করতে দেখা গেছে সামান্থাকে। সেসব জায়গায় কেবল মনোবল প্রার্থনা করেছেন। বাকিটুকু তিনি নিজেই করে নিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, “এক বছর হয়ে গেল রোগ ধরা পড়ার। আমি এখন নতুন জীবনে মানিয়ে নিয়েছি। লবণ খাওয়া যাবে না, চিনিও না! তার বদলে একগাদা ওষুধ দিয়েই পেট ভরাচ্ছি। হঠাৎ করে সব কিছু বন্ধ করে দিয়ে অন্য নিয়মে অভ্যস্ত হচ্ছে আমার শরীর। মানসিক টানাপড়েনেও বিধ্বস্ত হয়েছি।”
কোনও কিছুর অর্থ খুঁজে পাচ্ছিলেন না সামান্থা। দিশাহারা লাগছিল তার। এক বছর ধরে পুজা-অর্চনা করার কথা স্বীকার করে নেন অভিনেত্রী। তবে আশীর্বাদ বা উপহার কিছুই চাইছিলেন না। সামান্থার কথায়, “শুধু শান্তি আর মনের জোর প্রার্থনা করছিলাম। এই একটা বছর আমায় শিখিয়েছে, সব সময় পথ মসৃণ হয় না। সব থেকে বড় কথা হল, খারাপ থাকাটাও স্বাভাবিক, সেটাকে মেনে নিতে শিখেছি।”
সামান্থার উপলব্ধি, সাফল্যের মাপকাঠি আলাদা আলাদা। ঘটা করে যেটা হল না বটে, তবু লড়ে যাওয়া এবং এগিয়ে যাওয়া আরও বড় সাফল্য তার কাছে এখন। তার কথায়, “ঘৃণা আমার মনকে আচ্ছন্ন করে দেবে, এমনটা হতেই দেব না। যা ভালবাসি সেটাকেই সত্যি করে রাখব। বসে বসে দুঃখ করা আমার ধাতে নেই। তা-ই করব, যার দাম আছে।”
দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে দেখতে দেখতে প্রায় ১৩ বছর কাটিয়ে ফেলেছেন সামান্থা। সামান্থার পারিশ্রমিক বাড়ে ‘পুষ্পা’ ছবিতে। পাঁচ মিনিটের আইটেম গান ‘উ আন্তাভা’র জন্য ৫ কোটি রুপি পারিশ্রমিক পান অভিনেত্রী। এই আইটেম গানের আগে ছবির নায়িকা হিসেবে তার পারিশ্রমিক ছিল প্রায় ৩ কোটি রুপি।
এই মুহূর্তে সামান্থা চর্চায় রয়েছেন তার আগামী সিরিজের কারণে। ‘সিটাডেল’ সিরিজের ভারতীয় সংস্করণেই নাকি ১০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিচ্ছেন অভিনেত্রী! নতুন কাজেও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সেই সঙ্গে। রোম্যান্টিক কমেডি ‘খুশি’ তৈরি হচ্ছে শিব নির্ভানার পরিচালনায়। সেখানেই বিজয় দেবরাকোন্ডার সঙ্গে দেখা যাবে তাকে। চলতি বছর ১ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে আসছে সেই ছবি।
বিশ্বের সবচেয়ে সাহসী ওয়েব সিরিজ এটি, ভুলেও কারও সামনে দেখবেন না
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।