বিনোদন ডেস্ক : এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত তারকা প্রিয়ঙ্কা। একের পর এক শুট, আসন্ন সিরিজের প্রচার। পাশাপাশি বছরখানেকের মেয়ে ও সংসার সামলানো। সবটাই বেশ পোক্ত হাতে সামলাচ্ছেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাস। সব কিছুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে সাফল্যের সিঁড়িতেও অনায়াসে চড়ছেন প্রিয়ঙ্কা।
হলিউডের অন্যতম দামি ওয়েব সিরিজের মুখ্য চরিত্র তিনি। ‘সিটাডেল’ সিরিজে কাজ করেছেন মার্ভেল-খ্যাত রুশো ব্রাদার্সের সঙ্গে। তার সঙ্গে এক ফ্রেমে অভিনয় করেছেন ‘গেম অব থ্রোন্স’ খ্যাত অভিনেতা রিচার্ড ম্যাডেন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে সাফল্যের শিখরে রয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। তার এই আকাশছোঁয়া সাফল্য কেমন চোখে দেখেন স্বামী নিক জোনাস। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। প্রশ্নে উত্তর দিতে গিয়ে নিকের আরও এক প্রস্ত প্রশংসা করে ফেললেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়ঙ্কা জানান, নিকের মধ্যে নিজের প্রয়াত বাবার ছাপ দেখেন তিনি। তার বাবা কোনও দিন তার মায়ের সাফল্যে হীনম্মন্যতায় ভোগেননি। বরং বরাবর উৎসাহই দিয়েছেন প্রিয়ঙ্কার মা মধু মালতী চোপড়াকে। প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘আমার মা যখন প্রাইভেট প্র্যাকটিস শুরু করেন, তখন তিনি বাবার চেয়ে অনেক বেশি রোজগার করতেন। বাবার কখনও তাতে বাধা দেননি। বরং বাবা বলতেন, ‘সব উপার্জন ঘরেই তো আসছে’। নিকের মধ্যেও আমি এই গুণটা দেখি।
আমার সাফল্যে ও হীনম্মন্যতায় ভোগে না। বরং আমার সাফল্যে আমার চেয়েও ওর উৎসাহ কয়েক গুণ বেশি।’’ লন্ডনে ‘সিটাডেল’-এর প্রিমিয়ারের উদাহরণ টেনে অভিনেত্রী বলেন, ‘‘যখনই আমি রেড কার্পেটে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াই, নিক আমার উপর থেকে আলো কেড়ে নিতে চায় না। ও নিজেই বরং আমার ছবি তুলতে থাকে। আমার সাফল্য নিয়ে আমার নিজের চেয়ে ও বেশি উৎসাহী।’’
প্রিয়ঙ্কার এই কথা যে অক্ষরে অক্ষরে সত্যি, তার প্রমাণ দিয়েছেন নিক। লন্ডনে ‘সিটাডেল’-এর প্রিমিয়ারে লাল পোশাকে লাস্যময়ী রূপে হাজির হয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। সঙ্গে কালো পোশাকে ছিলেন নিক জোনাস। রেড কার্পেটে প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার পরেও প্রিয়ঙ্কার উপর থেকে চোখ সরাতে পারছিলেন না নিক। শুধু তাই নয়, পরে সরে দাঁড়িয়ে নিজের মোবাইল ফোনে প্রিয়ঙ্কার একাধিক ছবিও তোলেন ‘জোনাস ব্রাদার্স’ খ্যাত পপ তারকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।