আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অন্যের স্বামী চুরি করার অভিযোগ অস্বীকার করলেন ইউক্রেনের শরণার্থী যুবতী সোফিয়া কারকাদিম (২২)। তিনি বললেন, আমি কারো স্বামী চুরি করিনি। এমন অভিযোগকে তিনি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন।
বরং তাকে আশ্রয়দাতা পরিবারের যুবক টনি গারনেটের (২৯) সঙ্গে কয়েকদিনের মধ্যেই তার প্রমের সম্পর্ক হয়েছিল। সেই সম্পর্কের কারণেই টনি গারনেট তার স্ত্রী লরনা গারনেটকে ফেলে সোফিয়াকে নিয়ে চম্পট দেন। তখন এ নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হয়। সম্প্রতি তাদের অবস্থান জানতে পেরেছে বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকা। তাদের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে সোফিয়ার প্রতিক্রিয়া।
ইউক্রেনে রাশিয়া আগ্রাসন চালানোর পর মে মাসে ইউক্রেনের লাভিব শহর ছেড়ে লন্ডনে যান সোফিয়া কারকাদিম। তার অসহায় অবস্থা দেখে আশ্রয় দিয়েছিলেন টনি গারনেট ও লরনা গারনেট দম্পতি। তাদের আছে দুটি সন্তান। এমন পরিবারে তাদের সঙ্গেই বসবাস করার সুযোগ দেন সোফিয়াকে।
কিন্তু সেই মানবিকতা যে জীবনের সবচেয়ে বড় বিপদ ডেকে আনতে তা বুঝতে পারেননি লরনা গারনেট। কারণ, তিনি স্বামীকে বিশ্বাস করতেন। কিন্তু সোফিয়াকে আশ্রয় দেয়ার কয়েক দিনের মধ্যে দু’সন্তানের জনক টনির বুকের ভিতর ভালবাসার গ্রাফ বেঁকে যায়। তিনি সোফিয়ার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন। আস্তে আস্তে তাদের সম্পর্ক এগুতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় নিজের সংসার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন টনি। স্ত্রী ও সন্তানদের ফেলে রেখে সোফিয়াকে বগলদাবা করে চলে যান পিতৃপুরুষের বাড়িতে।
একটি পরিবারকে ধ্বংস করেছেন এমন অভিযোগের বিষয়ে সোফিয়া বলেছেন, শেষ পর্যন্ত আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, বিশ্বের বিখ্যাত এই ঘটনা নিয়ে একটি পোস্ট লিখবো। প্রথমত আমি যা বলতে চাই, তা হলো আমি কোন পরিবার থেকে কাউকে চুরি করিনি। তিনি (টনি গারনেট) নিজের বিবেক বিবেচনা থেকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ২৯ বছর বয়সী একজন পুরুষ, যার প্রেমে পড়ার অধিকার আছে। তার সুখি হওয়ার অধিকার আছে। তিনি কাকে বেছে নেবেন সে অধিকারও তার আছে। দ্বিতীয়ত, আমি বলতে চাই ‘হলুদ সাংবাদিকতাকে’ যে, আপনারা কি বাস্তবেই কখনো চিন্তা করেছেন যে, একটি সুখি পরিবার থেকে ১০ দিনের মধ্যে কাউকে বের করে আনা যায়? টনি আর আমি মিলে বেশ ভাল আছি। এই যাত্রায় যারা আমাকে সমর্থন দিয়েছেন, আমাকে সাহস যুগিয়েছেন, তাদের সবার প্রতি ধন্যবাদ জানাই।
এরপর সোফিয়ার ইন্সটাগ্রাম শেয়ার করে টনি গার্নেট লিখেছেন- এখানে সোফিয়ার ইন্সটাগ্রামে পোস্ট দিচ্ছি আমি টনি গারনেট। আপনারা কেন প্রকৃত সত্য থেকে বিচ্যুত হয়ে নেতিবাচক কথাবার্তা বলছেন। সত্য সহসাই প্রকাশিত হবে।
ওদিকে সোফিয়ার পরিবার তার এই কর্মকাণ্ডের জন্য লজ্জিত বলে এর আগে জানিয়েছিলেন তিনি নিজে। একই সঙ্গে বলেছিলেন, নিজের এই কর্মের কারণে তিনি জনসমুক্ষে আসতে পারবেন না। তিনি আরও বলেছিলেন, লোকজন আমাকে লিখে বলছেন আমি এক ভয়াবহ মানুষ। দেশের জন্য আমি একজন খারাপ মানুষ। বৃটেনে সবাই হয়তো একই রকম ভাবছেন। কারণ, আমি একটি পরিবারের পুরুষ কর্তাকে নিয়ে এসেছি। কিন্তু এসবই মিথ্যা। আমি কারো সংসার ধ্বংস করিনি। কখনো তাদের পরিবারে যাওয়ার পরিকল্পনা করিনি আমি। লরনার কাছ থেকে টনিকে কেড়ে নিতে চাইনি। আমি মনে করি, তাদের সংসারে আমি প্রবেশ করার আগে থেকেই তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।