বিনোদন ডেস্ক : ২০০৭ সালে ‘জব উই মেট’ ছবিতে শেষ বার পর্দায় করিনা ও শাহিদের ‘রোম্যান্স’ দেখেছিলেন দর্শকরা। এই ছবির মুক্তির পর পরই তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
মঞ্চে তখন সদ্য ঘোষণা করা হয়েছে বছরের সেরা অভিনেত্রীর নাম। নাম ঘোষণা হতেই হাততালিতে ফেটে পড়েছে চারদিক। চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে সবার প্রথমে প্রেমিকের গালে চুম্বন করলেন নায়িকা। জড়িয়েও ধরলেন। সে সময় মঞ্চে দাঁড়িয়ে বর্তমান স্বামী। কথা হচ্ছে, সইফ আলি খান, করিনা কপূর ও শাহিদ কপূরকে নিয়ে। হ্যাঁ, এমন দৃশ্যেরই সাক্ষী হয়েছিল বলিপাড়া।
অবশ্য এই ঘটনা এখনকার নয়। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০৭ সালে। তখন প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন শাহিদ-করিনা। চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন এই যুগল। তখনও করিনার জীবনে প্রবেশ ঘটেনি সইফের। তবে অতীত হলেও, এখনও করিনা-শাহিদের সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে মেতে থাকেন তাঁদের অনুরাগীরা।
ঠিক কী ঘটেছিল? ২০০৭ সালে একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শাহিদ-করিনার এই ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি হয়েছিল। ২০০৬ সালে ‘ওমকারা’ ছবিতে ডলি মিশ্রের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ওই পুরস্কার মঞ্চে সেরা অভিনেত্রীর সম্মান পান করিনা। মঞ্চে পুরস্কার তুলে দিতে ছিলেন বলিউড ডিভা রেখা ও অভিনেতা সইফ আলি খান।
করিনার নাম সেরা অভিনেত্রী হিসাবে ঘোষণা হতেই হাততালিতে ফেটে পড়ে চারদিক। পাশেই বসেছিলেন শাহিদ। চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে শাহিদের গালে চুম্বন করেন করিনা। তখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে সইফ। এর পর মঞ্চে উঠে পুরস্কার নেন করিনা।
এই ঘটনা বর্তমানে স্মৃতি হিসাবেই রয়ে গিয়েছে বলিপাড়ায়। ২০০৭ সালে ‘জব উই মেট’ ছবিতে শেষ বার পর্দায় করিনা ও শাহিদের ‘রোম্যান্স’ দেখেছিলেন দর্শকরা। এই ছবির মুক্তির পর পরই তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। পরের বছর ২০০৮ সালে ‘টশন’ ছবির সেটে সইফের প্রেমে পড়েন করিনা। সেই সময় থেকেই ‘সইফিনা’ জুটির প্রেমকাহিনি শুরু হয়। পরে বিয়ে করেন তাঁরা। বর্তমানে সুখী দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছেন সইফ-করিনা। কিন্তু এখনও করিনা-শাহিদের প্রেমকাহিনি চর্চায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।