লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিয়ের ক্ষেত্রে পুরুষের বয়স নারীর বয়সের তুলনায় বেশি হবে। প্রচলিত নিয়ম এটাই। কিন্তু এই ধারণার পেছনে কি কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে? স্বামী আর স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান কত হলে সংসার ভালোভাবে চলে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
অনেক ক্ষেত্রে এও দেখা যায়, স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর বয়স বেশি। তবে আদি যুগ থেকে এর উল্টোটাই হয়ে আসছে। এর পেছনে রয়েছে কারণও। মানুষের জিনের মধ্যে দিয়ে এই ধারণা প্রবাহিত হয়েছে। বহু মানুষ এই ধারণা ভাঙার চেষ্টা করেছেন ঠিকই, কিন্তু এখনো পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে প্রচলিত।
কিন্তু কেন এমন ধারণা? আর স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্যই বা কত হওয়া উচিত? দেখে নেওয়া যাক, কী বলা হচ্ছে সেই বিষয়ে।
বেশির ভাগেরই ধারণা, স্বামীর বয়স স্ত্রীর বয়সের চেয়ে বেশি হওয়া উচিত। এর পেছনে জৈবিক কারণ রয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। কী সেই কারণ?
অনেকেই মনে করেন, শারীরিকভাবে প্রাপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে মেয়েরা ছেলেদের থেকে একটু এগিয়ে থাকেন। অর্থাৎ মেয়েদের শরীর ছেলেদের আগেই প্রাপ্ত বয়স্কদের শরীরের বৈশিষ্ট্যগুলো লাভ করে। অনেকেরই মত, ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা তিন-চার বছর আগে শারীরিক পূর্ণতা পায়।
ঠিক সেই কারণেই অনেকের মত, মেয়েদের শরীরে বার্ধক্যের লক্ষণগুলোও ছেলেদের থেকে আগে আসতে পারে। সেটিও তিন-চার বছর আগেই শুরু হয়ে যেতে পারে। সেই কারণেই বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলেদের বয়স বেশি থাকলে ভালো হয় বলে মনে করেন অনেকে।
এখানেই শেষ নয়। ছেলেরা মানসিকভাবে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে মেয়েদের থেকে সময়ের হিসাবে পিছিয়ে থাকেন বলে মনে করেন অনেকে। অর্থাৎ মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় কম বয়সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং পরিস্থিতি বোঝার ক্ষেত্রে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে পারেন বলে মনে করা হয়।
দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষেত্রেও মেয়েরা ছেলেদের থেকে বয়সের বিচারে এগিয়ে থাকেন বলে মত অনেকের। মেয়েদের অনেক কম বয়স থেকেই দায়িত্ববোধ তৈরি হয়ে যায় বলে মত।
এই সব কারণেই স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে বয়সের ব্যবধান তিন থেকে চার বছরের মতো রাখা এবং স্বামীর বয়স স্ত্রীর থেকে বেশি হওয়ার পরামর্শ দেন অনেকেই। যদিও এ বিষয়ে প্রামাণ্য কোনো তথ্য নেই। তবে অনেকে এটিকেই সঠিক বলে মনে করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।