জুমবাংলা ডেস্ক : বরগুনায় স্বামীর ধূমপান করা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ফারিয়া (১৭) নামে এক গৃহবধূ কীটনাশকপানে আত্মহত্যা করেছেন। নিহত ওই গৃহবধূ ময়মনসিংহের গগদা এলাকার হারেছ মিয়ার মেয়ে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার আমতলী এলকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরগুনা সদর উপজেলার আমতলী এলাকার বাসিন্দা আব্বাস বিশ্বাসের ছেলে সালমান এবং ফারিয়া একসঙ্গে ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠায় ৬ মাস আগে তারা বিয়ে করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে ফারিয়া স্বামীর সঙ্গে বরগুনায় তার শ্বশুরবাড়িতে থাকতে শুরু করেন। তবে সালমান ধূমপানে আসক্ত থাকায় ফারিয়া প্রায় সময়ই তাকে নিষেধ করতেন। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে মনমালিন্যের জেরে ঘরে থাকা কীটনাশক ট্যাবলেট খান ফারিয়া। পরে পরিবারের সদস্যরা ফারিয়াকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত ফারিয়ার শাশুড়ি খালেদা বলেন, ‘আমার ছেলের স্ত্রী ফারিয়া প্রায় সময়ই ছেলেকে সিগারেট খেতে নিষেধ করত। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনমালিন্যও হত। তবে আমার ছেলে কখনো তাকে মারধর করেনি। সিগারেট খাওয়া বন্ধ না করায় মাঝে মধ্যে রাগ করে ফারিয়া মরিচ চিবিয়ে খেত। আজ সিগারেটের প্যাকেট লুকিয়ে রাখায় ছেলের সঙ্গে মনমালিন্য হলে ঘরে থাকা তরমুজ ক্ষেতে দেওয়ার কীটনাশক খায় ফারিয়া। পরে আমরা তাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।’
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার বা কেউ এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ জানায়নি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।