জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের বাজারে প্রযুক্তির বাজারে এক নতুন পালা শুরু করতে যাচ্ছে স্যামসাং। সম্প্রতি তারা দুটি নতুন ওয়াশিং মেশিন উন্মোচন করেছে: ৯.৫ কেজি টপ লোড ওয়াশার (ডব্লিউএ৯৫সিজি) এবং এআই প্রযুক্তি সমর্থিত ৯ কেজি ফ্রন্ট লোড ওয়াশার (ডব্লিউডব্লিউ৯০ডিজি)। এই উদ্ভাবনী প্রযুক্তি নিয়ে আসা নতুন ওয়াশিং মেশিনগুলো ব্যবহারকারীদের জন্য এক নতুন জীবনধারণের সুবিধা প্রদান করবে, যা নিশ্চিত করবে অধিক স্বাচ্ছন্দ্য ও উন্নত পরিষেবা।
স্যামসাংয়ের ৯.৫ কেজি টপ লোড ওয়াশার: বৈশিষ্ট্য ও কার্যকারিতা
স্যামসাংয়ের ৯.৫ কেজি টপ লোড ওয়াশার নতুন ওয়াশিং মেশিন বাজারে গ্রহণযোগ্যতা অর্জনে সক্ষম হওয়ার জন্য কিছু চিত্তাকর্ষক প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে। তার মধ্যে রয়েছে ইকো বাবল প্রযুক্তি, ডুয়াল স্টর্ম এবং বাবল স্টর্ম এবং স্পিড স্প্রে। এই সব ফিচারগুলো কাপড়কে পরিষ্কার করার কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে, সেই সাথে কাপড়ের কোমলতাও বজায় রাখবে।
Table of Contents
ব্যবহারকারীদের সুবিধার জন্য ওয়াশিং মেশিনটিতে রয়েছে ১০ স্তর পর্যন্ত ওয়াটার অ্যাডজাস্টেবল সক্ষমতা, যা বিভিন্ন কাপড়ের জন্য উপযুক্ত। এছাড়া, এর ৭০০-আরপিএম স্পিন স্পিডের মাধ্যমে তরল পরিষ্কার করার কাজটি আরও দ্রুত ও কার্যকরী হবে। স্যামসাং ওয়াশিং মেশিনের সফট ডোর ক্লোজিং ফিচার এবং স্মার্ট চেক ফিচার ব্যবহারকারীদের জন্য অভিজাত এক অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবে।
নতুন ফ্রন্ট লোড ওয়াশার: স্যামসাংয়ের আধুনিক প্রযুক্তি
৯ কেজি ফ্রন্ট লোড ওয়াশারে স্যামসাং একত্রিত করেছে এআই ওয়াশ, এআই ইকো বাবল, এআই কন্ট্রোল, স্মার্টথিংস কানেক্টিভিটি এবং অটো ডিসপেন্স ফিচার। এই সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাপড় ধোয়া প্রক্রিয়া হবে আরও কার্যকরী এবং হাইজেনিক। বিশেষ করে, ১,৪০০-আরপিএম স্পিন স্পিডের ফলে এটি কাপড়ের শুকানোর প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে তুলবে।
এটি প্রতি সাইকেলে ৫০ লিটার পানি ব্যবহার করে, ফলে এটি পানি ও বিদ্যুতের সাশ্রয় করার পাশাপাশি পরিবেশের ওপরও কিছুটা চাপ কমাবে। এর স্টেক্লিন ড্রয়ার এবং হাইজিন স্টিম ফিচার ব্যবহারকারীদের আরো নিরাপদ কাপড় ধোয়া নিশ্চিত করবে।
যদিও বর্তমান বাজারে ওয়াশিং মেশিনের সংখ্যাধিক্য রয়েছে, স্যামসাংয়ের নতুন প্রযুক্তির টপ-এন্ড ওয়াশিং মেশিন ব্যবহারে মেলে আধুনিক বোধ এবং অতিরিক্ত সুবিধা।
মূল উদ্দেশ্য: জীবনযাত্রার উন্নতি
স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশের হেড অব বিজনেস শাহরিয়ার বিন লুৎফর বলেন, “আমাদের বিশ্বাস, ৯.৫ কেজি টপ লোড ওয়াশার ও ৯ কেজি ফ্রন্ট লোড ওয়াশার – এ দু’টি ওয়াশিং মেশিনই চমৎকার পারফরমেন্স নিশ্চিত করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের স্বাচ্ছন্দ্যে নতুন মাত্রা যুক্ত করবে। আমরা ক্রেতাদের জীবনকে আরও সহজ করার জন্য ধারাবাহিকভাবে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি নিয়ে আসবো।”
এতে প্রতিদিনের জীবনযাত্রার অনুকূল ঘটনার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছেন। নতুন প্রযুক্তির সংস্কৃতি অব্যাহত থাকলে দেশে বিদ্যুৎ, পানি এবং শ্রমের সাশ্রয় হবে।
একটি ওয়াশিং মেশিনের কার্যকারিতা কেবল কাপড়কে পরিষ্কার এবং শুষ্ক করাই নয়, বরং এটি ব্যবহারকারীর জীবনযাত্রা সহজতর করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের বাজারে স্যামসাংয়ের এই প্রযুক্তির উপস্থিতি শুরুতেই অনেক মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে সবচেয়ে বড় সুবিধা হবে সময় ও শক্তির সাশ্রয়, যা সমাজের প্রতিটি স্তরে প্রভাব ফেলবে।
সারসংক্ষেপ
নতুন ওয়াশিং মেশিনগুলো কেবলমাত্র প্রযুক্তি নয় বরং এগুলো ব্যবহারকারীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও জীবনের সুবিধা বৃদ্ধির প্রতীক। স্যামসাংয়ের এই নতুন সংস্করণ তাদের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ওপর ভিত্তি করে আরও একজন আধুনিক জীবনের সূচনা করেছে।
FAQs
- স্যামসাংয়ের নতুন ওয়াশিং মেশিনের দাম কত?
স্যামসাংয়ের নতুন ওয়াশিং মেশিনের দাম বাজারের অবস্থার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। - ৯.৫ কেজি টপ লোড ওয়াশার কত দ্রুত কাজ করে?
এটি ৭০০-আরপিএম স্পিন স্পিডে কাজ করে, যা দ্রুত এবং কার্যকরী। - ফ্রন্ট লোড ওয়াশারের পানির ব্যবহার কত?
এই ওয়াশার প্রতি সাইকেলে ৫০ লিটার পানি ব্যবহার করে। - এআই ফিচার কি কাজ করে?
এআই প্রযুক্তি কাপড় ধোয়ার প্রক্রিয়াকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালনা করে, যাতে এটি আরও কার্যকর হয়। - এই ওয়াশিং মেশিনগুলো কি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী?
হ্যা, এই ওয়াশিং মেশিনগুলো ফাইভ-স্টার এনার্জি-এফিশিয়েন্ট রেটিং পেয়েছে, যা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। - স্যামসাংয়ের ওয়াশিং মেশিনের স্টাইল কেমন?
এর ঝকঝকে ব্ল্যাক কার্ভড ডোর ডিজাইন এটি একটি আধুনিক এবং প্রিমিয়াম লুক দেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।