জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, সাংবাদিকতায় কালোকে কালো আর সাদাকে সাদা বলতে হবে। সাংবাদিকতা হতে হবে পুরো সত্য, আংশিক নয়। সব ভয়-ভীতি ও লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে জাতির সামনে সত্য তুলে ধরতে হবে। যাঁরা এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সাহস রাখেন না, তাঁদের জন্য অন্তত সাংবাদিকতা নয়।
গতকাল শনিবার বিকেলে রংপুর টাউন হলে রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরপিইউজে) আয়োজিত সাংবাদিক সমাবেশে কাদের গনি চৌধুরী এসব কথা বলেন।
রংপুর ছাড়াও দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, পঞ্চগড়, বগুড়ার সাংবাদিকরা এ সমাবেশে যোগ দেন। সমাবেশের উদ্বোধন করেন জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে শহীদ সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়র মা ও জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সদস্য শামসি আরা জামান কলি।
আরপিইউজের সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নানের পরিচালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক।
আরো বক্তব্য দেন বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, সাদিকুল ইসলাম স্বপন, বিএফইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদ, বাসসের পরিচালক মমতাজ শিরীন ভরসা, বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম, ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সল, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার আবু সাইম প্রমুখ।
কাদের গনি চৌধুরী আরো বলেন, সাংবাদিকতা একটি মহত্ পেশা। এই পেশার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা। মানুষের সমস্যা, সমাজের নানা অসংগতি অনিয়ম অবিচার দুরাচার নির্যাতন এগুলো সঠিকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে সাংবাদিকদের কাজ।
সাংবাদিকরা হচ্ছেন সবচেয়ে বড় মানবাধিকারকর্মী। সাংবাদিকরা মানুষের সবচেয়ে কাছে থাকেন বলেই গণমাধ্যমকে জনগণের ভরসার শেষ ঠিকানা বলা হয়।
তিনি বলেন, মিডিয়াগুলোকে ব্যবহার করা হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অথবা ব্যাবসায়িক হাতিয়ার হিসেবে। কিন্তু সেটি হওয়ার কথা ছিল না। কারণ, এটি যখন হবে তখন পক্ষপাতদুষ্ট সাংবাদিকতা এসে যায়।
বাংলাদেশের সত্যিকার অর্থে এখন একটা ক্ষমতামুখী সাংবাদিকতা চলছে। তোষোমদি করে অর্থ-সম্পদের মালিক হওয়া। এ ক্ষমতামুখী সাংবাদিকতার কারণে গণমাধ্যম গঠনমুখী নয়, পতনমুখী হয়েছে। এই জায়গা থেকে গণমাধ্যমকে একটা আস্থার জায়গায় ফিরিয়ে আনতে হবে। কাজটি গণমাধ্যমকর্মীদের করতে হবে জাতির বিবেক হিসেবে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা, উত্তেজনা
কাদের গনি বলেন, দু-একটি বাদ দিলে গণমাধ্যম হাউসগুলোর কোনো প্রাতিষ্ঠানিকতা নেই। তাই তারা সাংবাদিকদের নিরপেক্ষ অবস্থানকে সমর্থন করতে পারে না এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সুরক্ষাও দিতে পারে না। বরং বেশির ভাগ গণমাধ্যম মালিক রাজনীতি ও ব্যবসার ঢাল হিসেবে গণমাধ্যমকে ব্যবহার করছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।