বিনোদন ডেস্ক : আট ও নয়ের দশকে দর্শকদের হৃদয়ে ঝড়তুলতেন তিনি। সেই সঙ্গীতা বিজলানির আজ জন্মদিন। ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। আর তাই মাত্র ১৬ বছর বয়স থেকে মডেলিং শুরু করেছিলেন। ২০ বছর বয়সে তিনি মিস ইন্ডিয়ার খেতাব জিতেছিলেন।
এখন তিনি বলিউড থেকে অনেকটাই দূরে। তবে এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পোস্ট করা ছবি, ভিডিও দেখে দর্শকরা মুগ্ধ হন।
সঙ্গীতার বলিউডে অভিষেক হয় ১৯৮৮ সালে ‘কাতিল’ ছবির মাধ্যমে। এরপর তিনি ‘ত্রিদেব’, ‘অস্ত্র’, ‘জুরম’, ‘যোদ্ধা’, ‘গাঁও কা দেবতা’, ‘লক্ষ্মণ রেখা’, ‘ইজ্জত’, ‘যুগন্ধর’, ‘খুন কা কার্জ’ এবং ‘হাতিমতাই’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন।
জসিম খান-এর বই বিইং সলমন অনুযায়ী, একটা সময় সলমন খান-সঙ্গীতা বিজলানির বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কার্ড ছাপা হয়ে যায়। তার পর সঙ্গীতা হঠাত্ করেই সলমনকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন।
শোনা যায়, সঙ্গীতা বুঝতে পেরেছিলেন, সলমন তাঁকে ঠকাচ্ছেন। কারণ ততদিনে সলমনের জীবনে সোমি আলি এসেছেন। সোমির সঙ্গে সময় কাটাতে শুরু করেন সলমন। আর সেটা মেনে নিতে পারেননি সঙ্গীতা।
সলমনের সঙ্গে ব্রেক-আপ-এর পর সঙ্গীতার জীবনে আসেন ক্রিকেটার মহম্মদ আজহারুদ্দিন। ১৯৯৬ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। আজহারুদ্দিন তখন বিবাহিত ছিলেন। তাঁর দুটি সন্তানও ছিল। ২০১০ সালে সঙ্গীতা-আজহারুদ্দিনের বিয়ে ভেঙে যায়।
আজহারুদ্দিনের সঙ্গে বিয়ের পরই বলিউড থেকে নিখোঁজ হয়ে যান সঙ্গীতা। বিয়ে ভাঙার পরও তাঁকে আর কোনও সিনেমায় দেখা যায়নি।
গত বছর এক সাক্ষাৎকারে সলমন খানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সঙ্গীতা বিজলানি বলেছিলেন, “দোস্তি কি হ্যায়, নিভানি তো পারেগি… যাদেরকে আমরা দীর্ঘদিন ধরে চিনি, তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখা ভাল।” সলমনের বাড়ির একাধিক পার্টিতে সঙ্গীতাকে এখনও দেখা যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।