বিনোদন ডেস্ক : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দেবদাস’ উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে বলিউডের খ্যাতনামা পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনসালি একই নামের সিনেমা তৈরি করেছিলেন। যখন তৈরি করেছিলেন তখন দর্শকমনে রাজ করছেন ‘দিল তো পাগল হ্যায়’, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’এর মতো সিনেমা। সেই পরিস্থিতিতে স্রোতের বিপরীতে গিয়ে এমন একটি ছবি বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পরিচালক। আর সেই সিনেমার হাত ধরেই বদলে গিয়েছিল বলিউড।
‘দেবদাস’ সিনেমা মুক্তি পেয়েছে দেখতে দেখতে ২০ বছর হয়ে গেল। কিন্তু এখনও সেই ছবির শেষ দৃশ্য যেন দর্শকমনে গাঁথা রয়েছে। প্রেমিক দেব শেষে নিঃশ্বাস নিচ্ছে জানতে পেরে পারোর ব্যকুল হয়ে দৌড়নো, তাঁর মনের ভেতর চলতে থাকা উথালপাতাল এবং সব শেষে শট চেষ্টা সত্ত্বেও, ভালোবাসার মানুষকে শেষ দেখা দেখতে না পারা। পারোর সঙ্গে সেই ব্যথা দর্শকরাও যেন প্রতিটা মুহূর্তে অনুভব করেছিলেন।
তবে এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখা প্রয়োজন, সঞ্জয় লীলা বনসালি কিন্তু ‘দেবদাস’ ছবির শেষটুকু নিজের মতো করেছিলেন। আর ঠিক হয়তো সেই কারণেই তাঁর ছবি হয়ে উঠেছে অনন্য। হলবিমুখ দর্শকদেরও টেনে আনতে সক্ষম হয়েছিল সঞ্জয়ের ‘দেবদাস’।
সঞ্জয় এমন একজন পরিচালক যিনি ছবি তৈরিকে ‘কারিগরি’ হিসেবে সম্বোধন করেন। আর একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, তিনি সত্যিই একজন দুর্দান্ত কারিগর। আর সত্যিই তিনি একজন কারিগর না হলে, সিনেমার সেট থেকে শুরু করে পোশাক, মেক আপ থেকে শুরু করে গান, নাচ- সবদিকে নজর রাখতে পারতেন না। ঠিক যেমন একজন শিল্পী কখনও চান না তাঁর ‘মাস্টারপিস’ খারাপ হোক, তেমনই যেন সঞ্জয়ও চান না তাঁর কোনও সিনেমা খারাপ হোক।
১৯৯৬ সালে ‘খামোশি’ ছবির হাত ধরে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন সঞ্জয়। এরপর ‘হাম দিল দে চুকে সনম’, ‘দেবদাস’, ‘বাজিরাও মস্তানি’, ‘গঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি’র মতো একাধিক ব্লকবাস্টার ছবি তৈরি করেছেন তিনি। এখন সঞ্জয় লীলা বনসালির চলচ্চিত্র পরিচালনা একটি ভিন্ন ঘরানার মধ্যে পড়ে। কিন্তু ‘দেবদাস’এর সময় কিন্তু তা ছিল না। তাও তিনি স্রোতের বিপরীতে গিয়ে এমন একটি ছবি বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আর তার সেই ‘মাস্টারপিস’ই বদলে দিয়েছিল বলিউডকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।