বিনোদন ডেস্ক : পল্লবী দে, বিদিশা দে মজুমদার, মঞ্জুষা নিয়োগীর পর আরও এক টেলি অভিনেত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন। টালিগঞ্জে টুকটাক কাজ করতেন তিনি।
ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরে। Facebook -এ অভিনেত্রী লেখেন, “শান্তি চাই…. গুডবাই।” জানা গিয়েছে, পরিবারের সঙ্গে ঝামেলার জেরেই ওই কাণ্ড ঘটান তিনি। শেষ ফেসবুক পোস্টে তিনি এও লেখেন, “অনেক চেষ্টা করলাাম বাঁচার। অনেক কষ্ট করলাম। এবার একটু শান্তি চাই।”
ফের আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন টালিগঞ্জের এক উঠতি মডেল তথা অভিনেত্রী। তবে মারা যাননি তিনি। আপাতত মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। বিগত দেড় বছর ধরে মুকুন্দপুর এলাকারই একটি আবাসনে থাকছিলেন দেবলীনা দে নামের ওই মডেল। ২৭ বছরের ওই মডেলের বাড়ি কালনায়। কাজের জন্যই কলকাতায় থাকছিলেন তিনি। কিন্তু, বিগত কয়েকদিন ধরে কোনও কাজ ছিল না তাঁর হাতে। সেই কারণেই পরিবারের সঙ্গে ঝগড়া চলছিল বেশ কিছু বছর ধরে।
ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, সিরিয়ালের টুকটাক কাজ পাচ্ছিলেন দেবলীনা। কিন্তু, এতে তাঁর দিন গুজরান হচ্ছিল না। পরিবারের সদস্যদের দাবি, মাসে ১০ হাজার টাকা করে পাঠানোও হতো দেবলীনা। যা দিয়ে বাড়ি ভাড়া, রান্নার লোকের বেতন, এমনকী বাজারও করতেন অভিনেত্রী। দিনের পর দিন তাঁকে এভাবে টাকা জোগাতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে উঠেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। আর এ নিয়ে ঝগড়ার জেরেই নাকি ওই কাণ্ড ঘটিয়েছেন টেলি অভিনেত্রী।
জানা গিয়েছে, গত ২ জুন দেবলীনার ২৮ তম জন্মদিন ছিল। ওইদিন কালনার বাড়িতে অভিনেত্রী তথা মডেলের জন্মদিনের পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। ওই পার্টির পর নাকি ফ্যাশন বুটিক খোলার জন্য লক্ষাধিক টাকা চান দেবলীনা। ওই দাবি মেনে নিতে নারাজ ছিল তাঁর পরিবার। দেবলীনার ভাই বেশ কিছু কথাও নাকি শুনিয়েছিল তাঁকে। যার পরে ভাইয়ের সঙ্গে বচসা এবং হাতাহাতি হয় দেবলীনার। ঘটনার দিনই Whatsapp, Facebook, Instagram থেকে পরিবারের সদস্যদের নাকি ব্লকও করে দিয়েছিলেন তিনি।
৩ জুন বিকেলে একটি গাড়ি ভাড়া করে দেবলীনাকে কলকাতায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দেবলীনা অত্যন্ত খামখেয়ালি এবং বদরাগী হওয়ায় তাঁর মা চেয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে আসতে। কিন্তু, দেবলীনা নাকি চাননি তাঁর মা সঙ্গে আসুন। জানা গিয়েছে, ২৪ জুন নরেন্দ্রপুরের একটি বাগান বাড়িতে একটি আগমনী মিউজিক ভিডিয়োর শ্যুট ছিল।
স্বামী মোটেও সুখ দিতে পারছেন না, রাগের মাথায় থানায় গেলেন স্ত্রী
সতীর্থদের দাবি, সকালে সেখানে গিয়েছিলেন দেবলীনা। এরপর কারওকে কিছু না জানিয়ে উধাও হয়ে যান তিনি। বন্ধ করে দেন নিজের মোবাইলও। পরে ফেসবুকে নিজের পরিবারের বিরুদ্ধে একটি নাতিদীর্ঘ পোস্ট করে নাকি রাতে বেশ কয়েকটি ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন তিনি। বিষয়টি চোখে পড়ামাত্র তাঁকে উদ্ধার করা হয়। ভোর রাতে তাকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।