লাইফস্টাইল ডেস্ক : রাম, হুইস্কি থেকে শুরু করে ভদকার মত কিছু ওয়াইন আছে যারা তাদের বিশেষত্বের কারণে খুবই বিখ্যাত। হয়তো আপনি অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের অ্যালকোহল পান করেছেন বা তাদের সম্পর্কে শুনেছেন। কিন্তু আপনি কি কখনো সাপের তৈরী ওয়াইন পান করেছেন? এর উত্তরটা নিশ্চয়ই ‘না’ হবে! এই ‘স্নেক ওয়াইন’ কী? এবার বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক..
আসলে, স্নেক ওয়াইন তৈরি করতে চাল বা অন্যান্য শস্য থেকে তৈরি ওয়াইনটিতে একটি জীবিত বা মৃত সাপ রেখে দেওয়া হয়। স্নেক ওয়াইন প্রস্তুত করা হয় চীনে। এটি পশ্চিম চীনের কোনো একটি রাজবংশ থেকে প্রথম প্রস্তুত করা হয়েছিল। এরপর থেকে খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এই ওয়াইন সাধারণত ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
চীন ছাড়াও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার উত্তর কোরিয়া, লাউস,ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, জাপান এবং কম্বোডিয়া জুড়ে তৈরি হয় এই ওয়াইন। বলা হয়, কুষ্ঠ রোগ, অতিরিক্ত ঘাম, চুল পড়া, শুষ্ক ত্বক এবং অনেক রোগের চিকিৎসা হয় এই ওয়াইন দিয়ে। ঐতিহ্যগতভাবে এই ওয়াইনকে একটি টনিক হিসেবে দেখা হয়। উল্লেখিত ওই দেশগুলির সাধারণ স্টলেও এই মদ দেখতে পাবেন।
বোতলে একটি জীবিত বা মৃত সাপ রেখে এতে চাল, গম বা অন্যান্য শস্যের সাথে অ্যালকোহল যোগ করা হয় এবং এটিকে কয়েক মাস পর্যন্ত গাঁজন প্রক্রিয়ায় রাখা হয়। এর সাথে ফরমালডিহাইডও যোগ করা হয়। ভিয়েতনামি ভাষায় সাপকে ‘উষ্ণতা’ এবং পুরুষত্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত করা হয়। সেই কারণে স্নেক ওয়াইন ভিয়েতনামের বেশ জনপ্রিয়।
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, স্নেক ওয়াইনে ব্যথা নাশককারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো এটি পান করা নিরাপদ কিনা? এর উত্তর হবে ‘হ্যাঁ’। এই ওয়াইন প্রস্তুতিতে ইথানল ব্যবহার করা হয়, যে কারণে সাপের বিষ কেটে যায়। সাধারণত এই ওয়াইন প্রস্তুতিতে অতিরিক্ত বিষাক্ত সাপ ব্যবহার করা হয় না। তবে এ নিয়েও সতর্কতা জারি করা হয়েছে যে স্নেক ওয়াইন পান করা বিপদজনক হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।