বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : সারা দেশে শতভাগ গ্রাহক ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছে। তবে অত্যন্ত ধীরগতিতে। ফাইবার সেবাদাতাদের কাজে ধীরগতির ফলে সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও আইএসপিগুলোর কাছে শতভাগ ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করতে পারছে না আইআইজি অপারেটররা।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক সময় সংবাদকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইমদাদুল হক বলেন, ‘বর্তমানে গুগল ও ফেসবুকের ক্যাশ সার্ভার আপডেট হচ্ছে। শেষ হতে সময় লাগবে ২৪ ঘণ্টা। ফলে ফেইসবুক ও গুগল ব্যবহারে গ্রাহকদের কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হবে।’
অন্যদিকে বিকল্প ডাটা সেন্টার থেকে সেবা নেয়ায় বর্তমানে মোবাইলে কথা বলা কিংবা ইন্টারনেট ব্যবহারে কোনও সমস্যা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে মোবাইল অপারেটরগুলো।
প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, রাজধানীর মহাখালীর খাজা টাওয়ার একটি পূর্ণাঙ্গ টেলিকম হাব। রয়েছে অসংখ্য ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ও বেশ কয়েকটি মোবাইল কোম্পানির ডাটা সেন্টার। এখান থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা হয় দেশের ৭০ শতাংশ প্রযুক্তি সার্ভার। ৯০-এর দশকে নির্মিত এ ভবনে একসঙ্গে এতো সংখ্যক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কাজ করার ক্ষেত্রে ভবনের যে সক্ষমতা দরকার, তা নেই।
জানা গেছে, এই ভবনে রয়েছে টিআর থ্রি মানের এনআরবি এবং ঢাকা কোলা ডেটা সেন্টার। কার্যক্রম পরিচালনা করে লেভেল থ্রি, সামিট কমিউনিকেশন্স, ফাইবার অ্যাট হোমসহ ব্যান্ডউইথ সরবরাহকারী শীর্ষ ১০টি অপারেটর। রয়েছে গুগল ও ফেসবুকের অন্যতম সার্ভারও।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলের অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৫০০ ইন্টারনেট প্রোভাইডার, দেশীয় কয়েকটি মোবাইল কোম্পানির নেটওয়ার্ক, এমনকি গুগল ও ফেসবুকের মতো বিদেশি প্রতিষ্ঠানের দেশীয় কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।