বিনোদন ডেস্ক : বলিউড অভিনেত্রী সারা আলি খান মুম্বাইয়ের আন্ধেরি ওয়েস্ট এলাকায় ২২.২৬ কোটি টাকায় দুটি বাণিজ্যিক অফিস স্পেস কিনেছেন বলে জানা গেছে। সম্প্রতি FloorTap.com নথি থেকেই সামনে এসেছে এমন তথ্য।
বলিউড অভিনেতারা মুম্বাইয়ের আন্ধেরি পশ্চিমের বীরা দেশাই রোডে অবস্থিত সিগনেচার বিল্ডিং নামে পরিচিত একটি বিল্ডিংয়ে বীর সাভারকর প্রজেক্টস প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে নবম তলায় দুটি বাণিজ্যিক ইউনিট কিনেছেন।
প্রতিটি সম্পত্তির চুক্তির মূল্য ১১.১৩ কোটি টাকা এবং প্রদত্ত স্ট্যাম্প শুল্ক ৬৬.৮ লক্ষ টাকা। প্রতিটি ইউনিটের বিল্ট আপ এরিয়া ২ হাজার ৯৯ বর্গফুট এবং কার্পেট এরিয়া ১ হাজার ৯০৫ বর্গফুট। ২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর নথি রেজিস্ট্রি করা হয়। ইউনিটগুলোতে তিনটি গাড়ি পার্কিংও রয়েছে।
গত বছরের জুলাই মাসে একই ভবনের চতুর্থ তলায় মায়ের সঙ্গে একটি অফিস কিনেছিলেন অভিনেত্রী সারা আলি খান। লেনদেনটি ছিল ৯ কোটি টাকার এবং তিনি ৪১.০১ লাখ টাকা স্ট্যাম্প ডিউটি দিয়েছিলেন। এ চুক্তির মধ্যে তিনটি গাড়ি পার্কিং স্পেসও রয়েছে। সম্পত্তির বিক্রেতা ছিলেন ঐশ্বরিয়া প্রপার্টি অ্যান্ড এস্টেটস প্রাইভেট লিমিটেড।
অভিনেতাদের মধ্যে সম্পত্তিতে বিনিয়োগ কোনো নতুন ঘটনা নয়। বরং সারার বাবা সাইফ আলি খানও একবার কপিল শর্মা শো-তে এসে নজেই জানিয়েছিলেন যে, একটা সময় ছিল যখন ভাড়াটিয়ারা ছোটখাটো সমস্যার জন্য তাকে ফোন করে নালিশ জানাতো। কখনও এসি খারাপ, কখনো বাথরুমে পানি আসছে না- ইত্যাদি। শেষে তিনি এগুলো দেখাশোনার জন্য একটা লোক রাখেন। সেই সময় মস্করা করে নিজেকে ‘ছোটা বাড়িওয়ালা’ বলেও অভিহিত করেন সাইফ।
বাবার মতো সারাও কিন্তু বড্ড হিসেবি। এ নিয়ে তার সহকর্মীরাও বেশ হাসিঠাট্টা করেন। এমনকী, সারা নিজেও বলেন, তিনি কিপটে।
একসময় ভিকি কৌশল ফাঁস করেছিলেন যে, শ্যুটিংয়ের মাঝে তিনি হঠাৎ দেখেন- সারা তার মা অমৃতা সিংকে খুব বকাঝকা দিচ্ছেন। এরপর তিনি যখন জানতে চান, কী হয়েছে? কারণটা শুনে চমকে যান। অমৃতা সিং নাকি অনেক টাকা দিয়ে তোয়ালে কিনেছেন। আর এভাবে মা টাকা নষ্ট করুক, একদম পছন্দ না সারার।
এটা নিয়েই সেই সময় মাকে শাসন করছিলেন সারা। নবাব-পৌত্রির এহেন কাজে বেশ অবাকই হয়েছিলেন ভিকি। যা তিনি নিজের মুখে জানিয়েওছিলেন কপিল শর্মার শো-তে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।