জুমবাংলা ডেস্ক : সারা দেশে তীব্র দাবদাহে জনজীবন যখন চরম অস্বস্তিতে তখন বাগেরহাটের শরণখোলা, মোংলাসহ উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকায় ভোরে দেখা মিলছে ঘন কুয়াশার। কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকছে গ্রামের পর গ্রাম।
সকাল ৯ টা পর্যন্ত দেখা মিলছে না সূর্যের। এতে মানুষের চলাচলসহ স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া ঘন কুয়াশায় বোরো ধানসহ মৌসুমি ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষক ও আবহাওয়াবিদরা।
স্থানীয়রা বলছেন, গত এক সপ্তাহ ধরে সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় এমন আবহাওয়া বিরাজ করছে। এর আগে বৈশাখ মাসে এমন আবহাওয়া কখনোই দেখেননি ওই অঞ্চলের মানুষ। দিনে তীব্র দাবদাহ এবং ভোরে ঘন কুয়াশার কারণে মানুষের মধ্যে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বেড়ে যাওয়া এবং মৌসুমি ফসলের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন এক আবহাওয়া কর্মকর্তা।
শরণখোলার স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, তিনি ৭০ বছরের জীবনে বৈশাখ মাসে এমন কুয়াশা দেখেন নি। আরেক কৃষক জানান, এমন কুয়াশা তিনি জীবনেও দেখেন নি। দিনে প্রচণ্ড রোদ, আর ভোরে কুয়াশা। এরফলে ধানসহ ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান ওই কৃষক।
বাংলাদেশে সাধারণত শীতের সময় নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কুয়াশা থাকে। তবে গরমের সময়ও দেশের মাঝে মধ্যে কুয়াশার দেখা পাওয়ার খবর পাওয়া যায়। আদ্রতা ধুলোবালির সঙ্গে মিশে গ্রীষ্মকালে কুয়াশা সৃষ্টি হতে পাবে বলে আবহাওয়াবিদদের ধারণা।
বাগেরহাটের মোংলার আবহাওয়া কর্মকর্তা শোয়েব কবীর বলেন, ভোর বেলা কুয়াশা পড়ার হচ্ছে, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। যার ফলে ঘন কুয়াশা পড়ে।
দিনে তীব্র গরম ও ভোর বেলা ঘন কুয়াশার কারণে মৌসুমি বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা আছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা। এছাড়া মানুষের মধ্যে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ারও শঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।