জুমবাংলা ডেস্ক : কারও নাম উল্লেখ না করে বুধবার নিজের ফেসবুক পোস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিফাত রশিদ বলেছেন, ‘জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনকে এক সপ্তাহের মাঝে ফাংশনাল (কার্যকরী) করুন। অন্যথায় আপনাদের বিরুদ্ধে আমরা সর্বস্তরের জনগণ কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবো।’
রিফাত রশিদের ওই পোস্টে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘আন্দোলন করা লাগবে না, কাল থেকে তুই দায়িত্ব নে…’
এই মন্তব্যের জবাবে রিফাত লেখেন, ‘আমি কেন দায়িত্ব নিবো? আপনি এক্সপার্ট লোকজন আনতেছেন না কেন? মেডিকেল, হেলথ ইকোনমিকসসহ এই সেক্টরের এক্সপার্ট মানুষজন আনেন। সারাদেশে অসংখ্য গ্রুপ আর্কাইভ+স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে স্টাবলিশ হইসে। এদের ইনক্লুড করেন। টিমটা বড় করেন। ভ্যারিফিকেশনের সেলটারে আরও বড় করেন।’
এর পর আরেক পোস্টে রিফাত লেখেন, জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের জন্য ফুলটাইম কাজ করবে এমন বড় একটা এক্সপার্ট টিম অবিলম্বে নিয়োগ দিতে হবে। প্রতি শুক্রবার একটা জেলা সফরের ফালতু ট্রেন্ড বাদ দিতে হবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ গঠন করা হয়। ওই সময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি ও শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ’র ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত ২১ অক্টোবর ফাউন্ডেশনের কমিটিতে পরিবর্তন আনা হয়। ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক করা হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমকে। স্নিগ্ধকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন সরকার অনুমোদিত একটি অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবামূলক ও জনকল্যাণমূলক বেসরকারি সংস্থা। গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের পরিবারকে আর্থিক ও মানবিক সহায়তা, পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান বা অন্য কোনো উপযুক্ত সুবিধা এবং আহত বা পঙ্গুত্ববরণকারী ব্যক্তিদের ওষুধসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়া, কর্মসংস্থান, আর্থিক ও মানবিক সহায়তা বা অন্য কোনো উপযুক্ত সুবিধা দেওয়া এই ফাউন্ডেশনের প্রধান লক্ষ্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।