বেশ কিছু প্রকল্পে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে চায় সৌদি আরব

জুমবাংলা ডেস্ক : ২০৩৪ সালে অনুষ্ঠেয় ফিফা বিশ্বকাপ সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু প্রকল্পে কাজের জন্য বাংলাদেশিদের সুখবর দিল সৌদি আরব। বৃহৎ সব অবকাঠামোর কাজে বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিতে চাইছে দেশটি। সেই সঙ্গে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোকেও বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

আরব নিউজ জানিয়েছে, বিশ্বকাপ উপলক্ষে দেশজড়ে পাঁচটি শহরের ১৫টি স্টেডিয়ামে খেলা আয়োজনের পরিকল্পনা করছে সৌদি আরব। এ জন্য বহু অবকাঠামোগত কাজ করা দরকার। অনেক শ্রমিক নতুন এই ক্রীড়া অবকাঠামো, পরিবহন নেটওয়ার্ক এবং হোটেল অবকাঠামো নির্মাণের কাজে যুক্ত হবে।

ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা আল-দুহাইলান মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) ঢাকায় তার কার্যালয়ে আরব নিউজকে বলেন, বাংলাদেশি শ্রমিকদের এরই মধ্যে কাতারে বিশ্বকাপ খেলার আয়োজন প্রকল্পে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি বাংলাদেশ থেকে নির্মাণ কোম্পানিগুলোকে সৌদি আরবে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ আমরা ১১টি স্টেডিয়াম নির্মাণ করব এবং বিদ্যমান আরও পাঁচটি স্টেডিয়াম সংস্কার করব। এটি কোম্পানো এবং শ্রমিকদের উভয়ের জন্য অংশ নেওয়ার জন্য একটি বড় সুযোগ হবে।

তিনি আরও বলেন, শুধু স্টেডিয়াম নির্মাণ নয়, হোটেল ও রিসোর্ট নির্মাণের কাজও চলছে। এটা বাংলাদেশের জন্য খুব ভালো সুযোগ হবে।

আরব নিউজ বলছে, কাতারে প্রায় ২০ লাখ প্রবাসী শ্রমিক ২০২২ সালের বিশ্বকাপের মেগা-প্রকল্পকে বাস্তবে রূপ দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি। তারা আটটি স্টেডিয়াম, একটি সম্পূর্ণ নতুন শহর, লুসাইল, দোহা মেট্রো, হোটেল এবং নতুন পরিবহন রুট নির্মাণ ও সংস্কার করেছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, আপনাদের যথেষ্ট সংখ্যক দক্ষ কর্মী রয়েছে। আমরা তাদের থাকার ব্যবস্থা করব এবং তাদের স্বাগত জানাতে পেরে খুশি। তারা খুব ভাল সুযোগ পাবে। বাংলাদেশি শ্রমিক এবং অভিবাসীরা কঠোর পরিশ্রমী, এবং তারা বুদ্ধিমান,। আপনি তাদের উপর নির্ভর করতে পারেন।

প্রসঙ্গত, সৌদি আরবে প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশি বসবাস ও কাজ করেন। তারা দেশটির বৃহত্তম প্রবাসী গোষ্ঠী এবং বাংলাদেশের বাইরে বৃহত্তম বাংলাদেশি সম্প্রদায়। সৌদি কেবল ২০৩৪ বিশ্বকাপই নয়, ২০২৭ সালে এএফসি এশিয়ান কাপ, ২০২৯ সালে এশিয়ান শীতকালীন গেমস এবং ২০৩০ সালে ওয়ার্ল্ড এক্সপো আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আল-দুহাইলান বলেন, নির্মাণ ব্যবসায় শ্রমিকদের উচ্চ চাহিদা থাকবে। আমরা ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছি। আমরা প্রতিদিন (বাংলাদেশিদের জন্য) ৫ থেকে ৭ হাজার ভিসা প্রসেস করছি। আমরা আরও বাংলাদেশিদের জায়গা দিতে ইচ্ছুক।