আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এই লক্ষ্যে সৌদি ও আমেরিকা একটি চুক্তির চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে তেল ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে তিনটি শর্ত দিয়েছে সৌদি আরব। মার্কিন লেখক টমাস ফ্রিডম্যান নিউইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত একটি উপ-সম্পাদকীয়তে এমনটাই দাবি করেছেন।
টাইমস অফ ইসরায়েল এই খবর জানিয়ে বলেছে, ফ্রিডম্যান লিখেছেন যে দুই দেশের মধ্যে চুক্তিতে কিছু শর্ত সাপেক্ষে সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। রিয়াদের শর্ত পূরণ হলেই এটা হবে।
সৌদি শর্তগুলি হল গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহার, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি নির্মাণে স্থগিতাদেশ এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য তিন থেকে পাঁচ বছরের রোডম্যাপ তৈরি করা।
তবে এই আমেরিকান লেখক মতামত দিয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বর্তমান ইসরায়েলি সরকার সৌদি আরবের এই শর্তগুলিতে সম্মত হবে। এরপরও এই চুক্তি হতে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এক্ষেত্রে শর্ত থাকবে যে, যে মুহূর্তে ইসরায়েল সরকার সৌদি-মার্কিন শর্ত মেনে নেবে, রিয়াদ তেল আবিবকে স্বীকৃতি দেবে।
ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ দেখার পাশাপাশি সৌদি রাজপরিবার তাদের নিজেদের স্বার্থও দেখছে। মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান সুন্নি দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পাবে।
আমেরিকা বহু বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক ঠিক করার চেষ্টা করছে। মার্কিন সরকারও এক্ষেত্রে সফল হয়েছে। ২০২০ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো এবং সুদান একটি চুক্তির মাধ্যমে তেল আবিবের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে। এর আগে, মিশর ও জর্ডান ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।