জুমবাংলা ডেস্ক : নিজের টাকায় মসজিদ নির্মাণ করে নামাজ আদায়ের জন্য চার মেয়েকে নিয়ে শরীয়তপুরে আসেন শেখ হামুদ আলী আল খালাফ।
শরীয়তপুরের ডামুড্যা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কুলকুড়ি এলাকায় চার কোটি টাকা খরচ করে তার কর্মচারী মোক্তার ঢালির মাধ্যমে একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করেন সৌদি নাগরিক শেখ হামুদ আলী আল খালাফ।
শুক্রবার সৌদি এয়ারলাইনসের একটি বিমানে চার মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে আসেন তিনি। বিমানবন্দর থেকে তিনটি গাড়ি নিয়ে শরীয়তপুরের ডামুড্যায় চলে আসেন। এ সময় তাকে বরণ করতে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে এগিয়ে যায় এলাকার যুবসমাজ।
ডামুড্যা পৌরসভার কুলকুড়ি এলাকায় পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন এলাকাবাসী। নিজের টাকায় নির্মিত মসজিদ দেখে আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করেন খালাফ ও তার পরিবার। খালাফের আগমন উপলক্ষ্যে কুলকুড়ি এলাকাটিতে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়।
জানা যায় কুলকুড়ির সৌদি প্রবাসী মোক্তার ঢালি প্রায় ২০ বছর ধরে সৌদি নাগরিক শেখ হামুদ আলী আল খালাফের অধীনে কাজ করছেন। কাজের সুবাদে মালিকের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে মোক্তারের। মোক্তার একদিন তার মালিককে প্রস্তাব করেন যে, খালাফ আমার এলাকায় একটি ভাঙ্গা মসজিদ আছে। আপনি চাইলে ওটাকে নির্মাণ করে দিতে পারেন। মোক্তারের প্রস্তাবে রাজি হয়ে খালাফ প্রায় ৪ কোটি টাকা খরচ করে কুলকড়ি কবিরাজ বাড়ি জামে মসজিদটি নির্মাণ করেন।
সৌদি নাগরিক শেখ হামুদ আলী আল খালাফ বলেন, বাংলাদেশ মসজিদ নির্মাণ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত। মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। আমি এ মসজিদটি নিজের চোখে দেখার জন্য আমার চার মেয়েকে নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করতে ছুটে এসেছি। আমি মোক্তারের সহযোগিতায় এ কাজ করতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, এ এলাকার মানুষ অনেক ভালো। তারা আমাকে অনেক সমাদর করেছে। আমি আগামীতে এ রকম সুন্দর আরও মসজিদ নির্মাণ করব ইনশাআল্লাহ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।