আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি আরবের প্রয়াত বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদের এক বিধবা স্ত্রী আইনি লড়াইয়ে লন্ডনে ‘বিলিওনিয়ার’স রো’ নামে পরিচিত একটি প্রাসাদের মালিকানা পেয়েছেন। এই রায় সৌদি রাজপরিবারের উত্তরাধিকার বিরোধের এক বিরল দৃষ্টান্ত।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
মামলার এজহারে জানা গেছে, ১৯৭৪ সালে প্রয়াত বাদশাহ ফাহাদ প্রতিষ্ঠিত লিচেনস্টাইন-ভিত্তিক অ্যাস্টুরিয়ন ফাউন্ডেশন উত্তর লন্ডনের বিশপস অ্যাভিনিউয়ে কেনস্টেড হলের মালিকানা দাবি করে। তবে যুক্তরাজ্যের একজন বিচারক অ্যাস্টুরিয়ন ফাউন্ডেশনের আনা মালিকানার দাবি প্রত্যাখ্যান করেন। কেনস্টেড হলের মূল্য প্রায় ১ কোটি পাউন্ডের অধিক। এভিনিউটি লন্ডনের অন্যতম ব্যয়বহুল রাস্তা।
মামলাটি সৌদি রাজপরিবারের মধ্যে একটি উত্তরাধিকার বিরোধের এক বিরল দৃষ্টান্ত। কারণ সাধারণত সম্পদের বিষয়াবলি সৌদি রাজপরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ও গোপন থাকে।
সৌদি রাজ পরিবারের ফ্রান্স, জার্মানি এবং স্পেনের অন্যান্য সম্পত্তি নিয়ে বড় এক বিরোধের অংশ ছিল লন্ডনের বাড়িটি। এসব সম্পত্তির মালিকানা ২০০৫ সালে বাদশাহ ফাহাদের মৃত্যুর পরপরই হস্তান্তরিত হয়েছিল।
বাদশাহ ফাহদের বিধবা স্ত্রী আল জাওরাহ বিনতে ইব্রাহিম আবদুল আজিজ আল ইব্রাহিম বলেন, প্রয়াত বাদশাহর নির্দেশেই বোর্ডের একজন সদস্য এসব সম্পত্তির মালিকানা স্থানান্তর করেন বলে আদালত রায় দিয়েছে। বাদশাহ তাঁর স্ত্রীকে এসব সম্পত্তি স্বেচ্ছায় দিচ্ছেন—সংবলিত একটি হস্তলিখিত নোটও উদ্ধৃত আদালতে উত্থাপন করা হয়।
ফাউন্ডেশন পরে অভিযোগ করে, উপহারটি অনুমোদিত ছিল না এবং অন্যায্যভাবে ফাউন্ডেশনের সম্পদ থেকে বড় অংশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা বাদশার সব উত্তরাধিকারীদের মধ্যে ভাগ করবার কথা ছিল।
ফাউন্ডেশনের আইনজীবীদের মতে, ইসলামিক আইন অনুযায়ী আল ইব্রাহিম ফাউন্ডেশনের সমস্ত সম্পত্তির ১০-১২ শতাংশ পেতেন। কিন্তু এখন তিনি যেই বাড়ি পেয়েছেন তার মূল্য প্রাপ্য অংশের চেয়ে অনেক বেশি।
চলতি বছরের শুরুতে মামলার শুনানিকালে আল জাওরাহ বিনতে ইব্রাহিম আবদুল আজিজ আল ইব্রাহিমের আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, প্রয়াত বাদশাহর আগের স্ত্রীর এক ছেলে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মামলা পরিচালনা করছেন।
এ বিষয়ে জানতে ব্লুমবার্গ উভয় পক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী আইন সংস্থাগুলোর কাছে ইমেল পাঠালে কোনো সাড়া পায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।