জুমবাংলা ডেস্ক : গোপালগঞ্জের কাজুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা রাশেদুল শেখ ও তার চাচা লালন শেখ দীর্ঘদিন যাবৎ সৌদি আরবের একটি ভাঙাড়ি মালামালের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। রাশেদুল শেখ ৫ বছর ও তার চাচা লালন শেখ ৮ বছর ধরে কাজ করছেন সেখানে। কাজ করতে গিয়ে মালিকের সঙ্গে চাচা-ভাতিজার হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ফলে কর্মচারীর বিয়েতে অংশ নিতে বাংলাদেশে এসেছেন সৌদি আরবের নাগরিক আবু বন্দর।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে গোপালগঞ্জের রতাইল গ্রামে কনের বাড়িতে যান ওই সৌদি নাগরিক।
কর্মীর বিয়েতে সৌদি মালিক অংশ নেওয়ায় বর ও কনের বাড়িতে ছিল উৎসবের আমেজ। এ সময় সৌদি নাগরিককে দেখতে ভিড় করেন বিয়ে বাড়ির অতিথিরা। ভিনদেশিদের এমন ব্যতিক্রম বিয়ের আয়োজন দেখে কিছুটা অবাক সৌদি নাগরিক আবু বন্দরও।
হালকা মসলাযুক্ত খাবারে অভ্যস্ত হলেও বিয়ে বাড়ির মেনুতে থাকা সকল খাবারই খেয়েছেন তৃপ্তি সহকারে। তার আপ্যায়নে তৈরি করা হয়- পোলাও, রোস্ট, কয়েক প্রকার মাছ, আস্ত খাসি, গরুর মাংস ও পায়েস।
খাবার শেষে তিনি সৌদির নিয়ম অনুযায়ী কোলাকুলি করে নিজ কর্মীকে অভিনন্দন ও তার নতুন জীবনের জন্য শুভকামনা জানান। কর্মচারীর প্রতি ভালবাসা ও নিজের মহানুভবতায় দেখিয়ে বিয়ে বাড়িতে অতিথিদের অবাক করেছেন আবু বন্দর। খুশি কনের পরিবারের সদস্যরাও।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় রাশেদুলের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে অংশ নেয় আবু বন্দর। সেখানে রাশেদুল গায়ে হলুদ মাখাসহ গভীর রাতে পর্যন্ত অনুষ্ঠান উপভোগ করেন এই সৌদি নাগরিক।
কর্মচারীর বিয়েতে এসে কেমন লাগলো এমন প্রশ্নে আবু বন্দর বলেন, রাশেদুলের বিয়েতে আসতে পেরে আমার খুবই ভালো লেগেছে। সে শুধু আমার কর্মচারী না আমার ভাইয়ের মতো।
শুক্রবার রাশেদুলের বৌভাতের অনুষ্ঠানেও অংশ নেন তিনি। বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফিরে যাবেন নিজ দেশ সৌদি আরবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।