লাইফস্টাইল ডেস্ক : সকালে স্কুলে গিয়ে শিক্ষকদের প্রধান কাজ হল স্কুল পরিষ্কার করা। স্কুলে ঢুকেই আগে ঝাঁটা হাতে নিয়ে স্কুল পরিষ্কার করতে দেখা যায় তাঁদের। কখনও আবার ব্লিটিং দিয়েও পরিষ্কার করেন তাঁরা। কখনও পোড়া বিড়ি, কখনও মদের বোতল, গুটখার প্যাকেট আবার কখনও গাঁজার কলকে উদ্ধার করেন তাঁরা। সেগুলি সবই স্কুলের মধ্যে থেকে ঝাঁট দিয়ে ফেলতে হয় তাঁদের।
সকালে স্কুলে পৌঁছেই শিক্ষকদের প্রধান কাজ হল স্কুল পরিষ্কার করা। ঝাঁটা হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় তাঁদের। আসলে স্কুলের মধ্যে যেখানে সেখানে নেশার সামগ্রী পড়ে থাকতে দেখা যায়। কখনও পোড়া বিড়ি, কখনও মদের বোতল, গুটখার প্যাকেট আবার কখনও গাঁজার কলকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
রাত বাড়লেই স্কুলে শুরু হয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতী রাজ। তার জেরে সকাল হলেই স্কুলে ঢুকে ঝাঁটা হাতে নিয়ে দেখা যাচ্ছে প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু কের বাকি শিক্ষকদের। এই ঘটনা নিয়ে থানায় জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ শিক্ষকদের। রাত বাড়লেই নেশার আসর বসছে স্কুল চত্বরে। কখনও আবার স্কুলের ক্লাসের মধ্যেই বসে যায় এই আসর। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো সমস্যায় পড়ছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের বৈকুণ্ঠপুর মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক থেকে শুরু করে পড়ুয়ারা।
এই স্কুলে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ৮০ ও শিক্ষক ৪ জন। অভিযোগ, বহু দিন ধরেই স্কুলে এই সমস্যা হয়ে চলেছে। সকালে কোনও সমস্যার দেখা পাওয়া যায় না। কিন্তু, রাত বাডড়লেই সেখানে বসে যায় নেশার আসর। এলাকার কয়েকজন দুষ্কৃতী এই কাজ করছে বলে জানা গিয়েছে। আর সেই কারণে সকাল হলেই স্কুলে ঢুকে আগে ঝাঁটা হাতে নিয়ে স্কুল পরিষ্কার করতে হচ্ছে শিক্ষকদের। গরমের ছুটি কাটিয়ে স্কুল খোলার পরও এই সমস্যা মেটেনি।
স্কুল ছুটির সময় তা পরিষ্কার থাকলেও আবার পরদিন নেশার সামগ্রীতে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শক্তিপদ হাইত বলেন, “প্রতিদিনই স্কুলে পৌঁছে আমাদের সবার আগে ঝাঁট দিতে হয়। সব নেশার দ্রব্য এখানে সেখানে পড়ে থাকে। কোথাও বিড়ি, কোথাও গাঁজার কলকে, কোথাও গুটখা থেকে শুরু করে সবই পড়ে থাকে স্কুলের এদিকে সেদিকে। আগে সেগুলো ঝাঁট দিয়ে সরিয়ে দিতে হয় আমাদের।
কখনও আবার ব্লিচিং দিয়ে পরিষ্কার করতে হয়। কখনও মাঠের মধ্যে মদের বোতল ভাঙা অবস্থায় পড়ে থাকে। তার জেরে খুবই সমস্যা হয় পড়ুয়াদের। তাদের পায়ে কাঁচ ফুটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই কারণে সবার আগে স্কুলে ঢুকেই আমাদের তা পরিষ্কার করতে হয়।”
এদিকে এবিষয় নিয়ে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। তিনি বলেন, “আমরা পরিষ্কার করে দিয়ে চলে গেলেই আবার সেই নোংরা হয়ে যায়। এখানে প্রতিদিনের একই গল্প। অনেক সময় দেখা গিয়েছে দুষ্কৃতীরা ইট দিয়ে স্কুলের ক্লাসের দরজাও ভাঙার চেষ্টা করেছে। এমনকী, অনেক সময় ক্লাসের ভিতরে ঢুকে গিয়েও তারা নেশা করেছে। সেখান থেকেও আমরা বিড়ির প্যাকেট ও মদের বোতল উদ্ধার করেছি।”
তবে শুধুমাত্র নেশার আখড়াই নয়, স্কুলে চুরিও লেগেই রয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষকদের। তাঁরা বলেন, “স্কুলে চুরি লেগেই রয়েছে। কখনও তার কেটে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা, আবার কখনও রান্নার সামগ্রী নিয়ে চলে যাচ্ছে। এনিয়ে আমরা থানায় অভিযোগও জানানো হয়েছে। এরপর পুলিশ কয়েকদিনের জন্য সেখানে গার্ডও দিল।
চিংড়ি প্রেমীদের জন্য স্পাইসি প্রন কারি রান্নার অসাধারণ রেসিপি
কিন্তু, তাতে কোনও লাভ হয়নি। আর স্থানীয় বাসিন্দারা গার্ড দেওয়া শুরু করলেই তাঁদের বাড়ির সামনে গিয়ে মল ত্যাগ করে আসছে। এই ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। এমনকী, স্কুলের মধ্যেও মলত্যাগ করে দিয়ে চলে যাচ্ছে। অনেক সময় আমাদেরই সেগুলো পরিষ্কার করতে হচ্ছে। সেগুলো পরিষ্কার করে তবেই আমরা ক্লাস শুরু করতে পারি।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।