আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্কুলের মধ্যে প্রেমিককে ডেকে প্রণয়ে জড়িয়ে পড়ল ছাত্রী। তার এই কাণ্ড দেখে স্কুল কর্তৃপক্ষকে খবর দেয় সহপাঠীরা। এদিকে ছাত্রীর এই কীর্তিতে তার স্কুলে ঢোকাই বন্ধ করে দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
একটি প্রেমের গল্প। তবে গল্প হলেও সত্যি! সেই ছেলেবেলার প্রেম। একটি মেয়ে তার প্রেমিককে তার বাহুডোরে আবদ্ধ করেছে। প্রেম নিবেদনের পর চুম্বনও করছে। আর মেয়েটির পরনে রয়েছে স্কুলের পোশাক। তবে এই দৃশ্য কোনও সিনেমার নয়। একটি স্কুলের দৃশ্য। এমনই একটি ঘটনার সাক্ষী থাকল ঘাটাল ব্লকের একটি হাইস্কুল। আসলে প্রেম কবেই বা কোন বেড়াজাল মেনেছে। প্রেমে কোনও সীমা থাকে না। কিন্তু, তা বলে স্কুল!
স্কুলের টিফিন টাইম। কেউ ব্যস্ত টিফিন খেতে, আবার কেউ খেলাধুলো বা খুনসুটিতে মেতে উঠেছে। কেউ স্কুলের জানালা দিয়ে চেয়ে রয়েছে বাইরের দিকে। আর একজন সেই সময় প্রেমিককে ডেকে পাঠায় স্কুলে। প্রেমিক অবশ্য স্কুলের ছাত্র নয়। আর প্রেমিকও সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সোজা হাজির হয় স্কুলে৷ এরপরই ছাত্রীটি ব্যস্ত হয়ে পড়ে প্রেমিকের সঙ্গে প্রণয়ে। প্রেমিককে দেখা মাত্রই সে জড়িয়ে ধরে সে প্রেম নিবেদনও করে। চুম্বনের পর্বও চলে সখা আর সখীর মধ্যে। এদিকে তাদের স্কুলের মধ্যে প্রেম নিবেদন করতে গিয়েই বিপাকে পড়ে তারা। সেখানে তো আর শত্রুর সংখ্যা কম নেই!
হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর এহেন প্রণয়ের কথা স্কুল কর্তৃপক্ষের কানে পৌঁছতে বেশি সময় লাগেনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে টানা চুমুর দৃশ্যটি দেখতে পেয়ে সহপাঠীরাই শিক্ষকদের জানায় বিষয়টি। ব্যস, স্কুলে ডাক পড়ে ছাত্রীর অভিভাবকদের। কিন্তু, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবকদের সামনেও অকুতোভয় ছিল ছাত্রীটি। নিজের কাজে মাথা নত না করে বরং সিদ্ধান্তে অবিচল থাকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীটি। শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকের কাছে দুরন্ত প্রেমের কথা অকপটভাবে স্বীকার করে নেয়।
ছাত্রীর অভিভাবকরা এই প্রণয়ের বিষয়টি মেনে নিয়েছে কিনা, তা জানা যায়নি৷ তবে ছাত্রীর স্কুলে আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কারণ কর্তৃপক্ষের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, স্কুলের মধ্যেই ওই সব কাণ্ড করায় স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তাই ওই ছাত্রী আর স্কুলে আসতে পারবে না। সে কথা ছাত্রী ও তার অভিভাবকদের জানিয়েও দেওয়া হয়। তবে উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষায় তাকে বসতে দেওয়া হবে বলেই স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এদিকে স্কুলের মধ্যে এহেন ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন অন্যান্য ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকরা। কারণ তাঁদের বক্তব্য, এসব দেখে তাঁদের ছেলেমেয়েরাও শিখবে। যা এই বয়সের জন্য একেবারেই ভালো নয়। আর স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ না করলে, অন্যরাও এই কাজ স্কুলের মধ্যে করার সাহস পাবে। ফলে স্কুল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে খুশি অভিভাবকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।