বিনোদন ডেস্ক : শিশুশিল্পী সিমরিন লুবাবা। খুব অল্প সময়েই দর্শকমনে জায়গা করে নিয়েছেন। তার আরেকটি পরিচয় হচ্ছে তিনি প্রয়াত অভিনেতা আব্দুল কাদেরের নাতনি। সম্প্রতি এই খুদে শিল্পী ভীষণভাবে ট্রলের শিকার হয়েছেন। ট্রল হওয়া প্রসঙ্গে সময় সংবাদের সঙ্গে কথা বলেছেন লুবাবা।
লুবাবার ভাষায়, ‘কেন্দে দিয়েছি বলায় অনেক বড় বড় লোকও আমাকে ট্রল করেছে। আমি অবাক হয়েছি উনাদের আচরণ দেখে। মুজিব সিনেমা তো হাসাহাসির কোন সিনেমা না? ওই সিনেমা দেখে কে কাঁদে নি? সিনেমা দেখে আমি ‘কেন্দে দিয়েছি’ বলায় যারা ট্রল করছে এটা তাদের জন্য লজ্জাজনক। এখন স্কুলে গেলেও আমাকে ট্রল করে।
লুবাবা জানায়, ‘কেন্দে দিয়েছি আর কান্না করেছি এর মধ্যে পার্থক্য কি? আমি নাকি পাকনা কথা বলি? আবার বলেন আমি কথা বলতে জানিনা! তাহলে আমি যাবো কোথায়? এভাবে ভাইরাল করা অহেতুক। আমি কথা বললেও দোষ, না বললেও দোষ। আবার বলে আমি নাকি লজিক গার্ল!’
মিডিয়ায় কাজ করা নিয়ে জানিয়েছেন, ‘আমি মিডিয়াতে কাজ করতে চাই। মিডিয়া ছাড়তে চাই না। আমার দাদাও অভিনেতা ছিলেন। তবে এভাবে ট্রল করবেন না। ভারতের মানুষও আমাকে অনেক সাপোর্ট করে। অথচ বাংলাদেশের কিছু মানুষ সারাদিন ট্রল/মিম নিয়ে পড়ে থাকে। কেন জানি আমি এগিয়ে যায়, এটা দেশের অনেকেই চায় না।’
জানা যায়, টিকটকে তার কোনো আইডি নাই। সব ফেক। তার ভিডিও দিয়ে অন্যরা টিকটক বানায়। ফেসবুক, ইন্সটায়ও অসংখ্য ফেক একাউন্ট আছে। ওসব একাউন্ট দিয়ে তার নামে প্রতারণা করা হচ্ছে।
লুবাবা আরও বলেন, ‘যারা আমাকে রোস্ট করছে, ট্রল করছে তাদের ঘরে কি মেয়ে নাই? বোন নাই? বা বাচ্চাকাচ্চা নাই? তারা কি তাদের বোন বা মেয়েদের নিয়ে এভাবে ট্রল করতে পারবে? আমাকে দেখতে হাসিখুশি লাগে, বাট আমি ভেতরে অনেক কষ্ট পাচ্ছি।’
কেঁদে কেঁদে লুবাবার দাদি (খাররুল কাদের) বলেন, ‘মানুষ লুবাবাকে নিয়ে খারাপ কথা বলে। লুবাবা তাহাজ্জুদের নামাজও বাদ দেয় না। ৫ ওয়াক্ত নামাজও পড়ে। লুবাবার নানুর বাড়ি ভারতে। ভারতে কেন্দে দিয়েছি শব্দটা ব্যবহার করা হয়। একারনে সে কেন্দে দিয়েছি বলেছে। লুবাবা তো কোনো খারাপ মেয়ে না। সে অনেক পরহেজগার। লুবাবা আড়ালে মন খারাপ করে। কান্নাকাটি করে। এভাবে ওকে ট্রল করবেন না। সে নামাজ পড়ে আল্লাহার কাছে বিচার দেয়।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।