আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্কুলের ফি দেওয়ার জন্য অভিনব এক পন্থা চালু করেছে ভারতের আসামের একটি স্কুল। ওই স্কুলের ফি হিসেবে নেওয়া হচ্ছে প্লাস্টিকের বোতল। সেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে, প্রতি সপ্তাহে নিয়ে আসতে হয় অব্যবহৃত ২৫টি প্লাস্টিক বোতল। এটাই তাদের ফি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, অভিনব এই স্কুল আসামের গুয়াহাটি শহরে। গুয়াহাটির বাসিন্দা পারমিতা শর্মা ও মাজিন মুখতার স্কুলটি চালু করেন। নিজেদের এলাকায় দুটি বড় সমস্যা লক্ষ্য করেন তাঁরা। একটি হলো আবর্জনা এবং অন্যটি নিরক্ষরতা। সেই সমস্যা একসঙ্গে দূর করতেই স্কুল খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
নিরক্ষরতার সঙ্গে আবর্জনাও যেন দূর হয়, সেই ভাবনা থেকে পারমিতা ও মাজিন স্কুলটি চালু করেন। তাঁরা জানান, সেখানের শিক্ষার্থীদের বিনা টাকায় পড়ানো হবে যদি প্লাস্টিকের বোতল জমা দেয় তারা। ওই স্কুল সেই বোতলগুলো রিসাইকেল করে ইট, রাস্তা এবং শৌচালয় তৈরি করতে কাজে লাগানো হয়।
বিনা বেতনে স্কুলে পড়ার পাশাপাশি আয়ের উপায়ও শিখিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেখানের পুরাতন শিক্ষার্থীরা পড়াচ্ছে নতুনদের। সেই সঙ্গে শিখছে কাঠের কাজ, বাগান তৈরি করা। অক্ষর নামের স্কুলটি ২০১৬ সালের জুন মাসে চালু করা হয়। গুয়াহাটি শহরের এক প্রান্তে অবস্থিত এই স্কুল। ওই এলাকায় পিছিয়ে পড়া এবং দরিদ্র পরিবারের শতাধিক শিশু পড়ছে অক্ষর স্কুলে। শিক্ষার্থীরা প্লাস্টিকের বিভিন্ন জিনিস সংগ্রহের পাশাপাশি সচেতনতামূলক কাজও করে। প্লাস্টিক এবং পলিথিন না পোড়াতে অন্যদের প্রতি অনুরোধ জানায় তারা।
আসামের ওই স্কুলটি নিয়ে আন্তর্জাতিক অনেক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। তবে সম্প্রতি নাগাল্যান্ডের এক রাজনীতিক স্কুলটির একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে (টুইটার) পোস্ট করেন। ভিডিওটি শেয়ার করে প্রশংসাসূচক মন্তব্য করছেন অনেকে। এরপর স্কুলটি আবার আলোচনায় আসে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।