জুমবাংলা ডেস্ক : মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় একটু উচ্চ বিদ্যালয়ের আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টে জার্সিতে পর্ন তারকা ‘মিয়া খলিফা’র নাম লেখা থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাবেক শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ এলাকায় বইছে সমালোচনার ঝড়।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে উপজেলার হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের একটি খেলায় স্কুল শিক্ষার্থীদের গায়ে পরিহিত জার্সিতে পর্ন তারকা ‘মিয়া খলিফা’র নাম দেখতে পাওয়া যায়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও চলছে নানা সমালোচনা।
শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুলের আয়োজনে স্কুলমাঠে আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টে দশম শ্রেণি ও সপ্তম শ্রেণির দল অংশগ্রহণ করে। খেলা শুরু হওয়ার সময় খেলোয়াররা মাঠে নামলে দশম শ্রেণির খেলোয়ারদের গায়ে পরিহিত জার্সিতে আন্তর্জাতিক পর্ন তারকা মিয়া খলিফার নাম লেখা দেখা যায়। লেখাটি স্কুলের বর্তমান শিক্ষার্থী, সাবেক শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ এলাকাবাসী দেখা মাত্রই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ বজলুর রহমানকে অবগত করে তীব্র নিন্দা জানান। একই সঙ্গে এই জার্সি পরিবর্তন করে অন্য জার্সি গায়ে দিয়ে খেলার দাবি জানান তারা।
অভিযোগ উঠেছে, জার্সি পরিবর্তনের দাবি উপেক্ষা করেই ওই জার্সি গায়ে দিয়েই খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ফলে এলাকাবাসী সমালোচনায় ফেটে পড়ে। অনেকেই তাৎক্ষণিকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা সমালোচনা ও নিন্দা করে পোস্ট দেন।
মো. আমিনুর রহমান নামে ওই স্কুলের সাবেক এক শিক্ষার্থী ক্ষোভের সঙ্গে জানান, জার্সির গায়ে একজন পর্ন তারকার নাম লেখা থাকবে এটি আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। আমরা এই জার্সি পরিবর্তন করার দাবি জানিয়েছিলাম। তারপরও ওই জার্সি দিয়েই খেলা হয়েছে। এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। একটি স্কুলের খেলার জার্সিতে এ রকম নাম রাখা নীতি-নৈতিকার অবক্ষয় ছাড়া কিছুই নয়।
এ বিষয়ে জানতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ বজলুর রহমানের ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. রুহুল আমীন জানান, জার্সিগুলো তার নিজস্ব ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান আরএ কম্পিউটার থেকে প্রিন্ট করা হলেও বিষয়টি নিয়ে তিনি জানতেন না। এ বিষয় নিয়ে শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আখম নুরুল হক, ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জ্যোতি খানসহ সাবেক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী নিয়ে সভা হয়। সভায় দশম শ্রেণির যেসব শিক্ষার্থী এ জার্সিগুলো প্রিন্ট করার সঙ্গে জড়িত, তাদেরকে শোকজ করা হয়েছে এবং তাদের টিমের খেলাটি বাতিল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শান্তা রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবার দিন আমি ছুটিতে ছিলাম। তাই এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। বিষয়টি শোনলাম মাত্র। আমি এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সূত্র : চ্যনেল ২৪
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।