জুমবাংলা ডেস্ক : মীরসরাইয়ে স্কুলশিক্ষিকার বিষয়ে ফেসবুকে কিছু স্ট্যাটাস দেওয়ায় ওই শিক্ষিকা এবং বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা অক্ষুণ্ণ রাখতে পাহারা দিতে হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে। ওই শিক্ষিকা আলোচিত বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবু ক্ষমা প্রার্থনা করেন সবার কাছে।
সরেজমিন ও প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, রোববার (১৪ আগস্ট) রাতে ফেসবুকে কয়েকটা আইডি থেকে ওই শিক্ষিকার বিষয়ে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। এই স্ট্যাটাসের পর বিষয়টি আলোচনা শুরু হলে রাতেই মীরসরাই থানা ও উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়। তাৎক্ষণিক রাতেই পুলিশের এএসপি সার্কেল লাবিব আব্দুল্লাহ, মীরসরাই থানার ওসি কবির হোসেনসহ জেলা ও থানা পুলিশের দুটি টিম গিয়ে দমদমা গ্রামের উক্ত স্কুলশিক্ষিকার বাড়ি এবং সরকারহাট এনআর উচ্চ বিদ্যালয়ে অবস্থান করে।
সোমবার (১৫ আগস্ট) সকালে সরকারহাট স্কুলের আশপাশে কয়েকটি ট্রাকে কয়েক দফা ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে কিছু তরুণ যুবকরা প্রতিবাদ মিছিল করার প্রস্তুতির চেষ্টাকালে বিদ্যালয়ের আশপাশে অবস্থান করা পুলিশ দল তাদের তাড়া করে।
রাত থেকে বাড়ি পাহারা দেওয়া মীরসরাই থানার এসআই আল আমিন বলেন, ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাসেই আমাদের নির্ঘুম রাত কাটাতে হলো। এখন শিক্ষিকার বাড়িতে ২০ সদস্যের পুলিশ ও নিজামপুরে ১০ সদস্যের পুলিশ দল অবস্থান করছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে ওই স্কুলশিক্ষিকা বলেন, ক্লাসে শিক্ষক নেই বলে শিক্ষার্থীরা হৈ চৈ করছিল। তাই শব্দ না করতে অনুরোধ করেছিলাম। এ নিয়ে এভাবে ভুল স্ট্যাটাস দিয়ে আমাকে বিব্রত করল কেন সেটাই ভাবছি। তবুও যদি কেউ ভুল বুঝে থাকেন তাহলে সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
এ বিষয়ে এএসপি সার্কেল বলেন, যে কোনো সমস্যা হলে তার সমাধানও আছে। তবে আইনশৃঙ্খলা কেউ নষ্ট করতে চাইলে কঠোর ভূমিকা নেওয়া হবে।
মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিনহাজুর রহমান বলেন, যে কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটানো খুবই সহজ। এভাবে শান্তি বিনষ্ট করার চেষ্টা করা খুবই অন্যায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়াহেদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল কবির ফিরোজ বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত ও সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।