সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় মিথ্যা অপপ্রচার ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করায় অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় নিহত স্কুলছাত্রীর নানি বাদি হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তিনজনকে আসামী করে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় মুন্নাফ হোসেন (৫২) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত স্কুলছাত্রী নুপুর আক্তার (১৫) কিশোরগঞ্জের বড় খালের পাড় এলাকার সেলিম মিয়ার মেয়ে। বিগত সাত বছর আগে নুপুর আক্তারের বাবা মায়ের বিচ্ছেদ হওয়ায় সে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার আহুলিয়া এলাকায় নানা বাড়িতে বসবাস করতো। সে কলিয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী।
গ্রেফতারকৃত মুন্নাফ হোসেন দৌলতপুর উপজেলার পাচ কলিয়া গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২২ মার্চ) স্কুল হতে বাড়ি ফেরার পথে ঘড়িয়ালা গ্রামে নারায়ণ সূত্রধরের ছেলে সজীব সূত্রধরের সাথে বিবাসী মুন্নাফের বাড়ীর পাশে কথা বলা সহ মোবাইলে ছবি তুলে। এসময় মুন্নাফ হোসেন নুপুরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং আশপাশের ওলাকজন ডেকে আনে। এরপর স্কুলের অন্যান্য ছাত্রছাত্রী আসলে মুন্নাফ হোসেন সজীবের মোবাইল ফোন রেখে দেয় এবং নুপুরের নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালায়। পরে মুন্নাফ হোসেন এ ঘটনাটি স্থানীয় শফিক মিয়া ও জুথি বেগমকে জানালে তারার নুপুরের নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালায়। এতে নুপুর আক্তার লোকলজ্জা ও মনের দু:খে গত বুধবার (২৪ মার্চ) গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
নিহত নুপুর আক্তারের নানি ও মামলার বাদি আছমা আক্তার জানান, শফিক মিয়া, মুন্নাফ মিয়া ও বিধানী জুথির মিথ্যা অপপ্রচার ও প্ররোচনায় আমার নাতিন মনের দুঃখে লজ্জায় ও সামাজিকতার কথা চিন্তা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জাকারিয়া হোসেন বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন। একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দুই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।