বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : ‘চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস’-এর বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন ১২ কোটি বছরের প্রাচীন এক জীবাশ্ম। জীবাশ্মটির মাথা ডাইনোসরের মতো, দেহ পাখির মতো। নয়া আবিষ্কার নিয়ে কী বলছেন বিজ্ঞানীরা? বিবর্তনের পথ সুদীর্ঘ। বিবর্তনের ধারায় সরীসৃপের পরেই রয়েছে পক্ষী।
ডাইনোসর সরীসৃপ শ্রেণির প্রাণী। ডাইনোসর থেকেই বিবর্তনের মাধ্যমে পাখির উৎপত্তি। সম্প্রতি চিনে আবিষ্কৃত একটি জীবাশ্ম থেকে আরও দৃঢ় হল এই ধারণা। ‘চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস’-এর বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন ১২ কোটি বছরের প্রাচীন একটি জীবাশ্ম। সেই জীবাশ্মটির মাথা ডাইনোসরের মতো আর দেহ পাখির মতো।
বিজ্ঞানপত্রিকা ‘নেচার ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন’-এ প্রকাশিত হয়েছে এই আবিষ্কারের কথা। জীবাশ্মটি যে প্রাণীর, তার নাম বিজ্ঞানীরা রেখেছেন ‘ক্র্যাটোনাভিস ঝুই’। গবেষকরা জানিয়েছেন, এই ‘ক্র্যাটোনাভিস ঝুই’-এর দেহের গঠন এমন, যা দেখে মনে হচ্ছে, এটি ডাইনোসর ও পাখির মধ্যবর্তী একটি প্রাণী। পাখির পিঠে স্ক্যাপুলা নামের এক বিশেষ ধরনের অস্থি থাকে। এই প্রাণীটির ক্ষেত্রে এই হাড় ‘আশ্চর্যজনক ভাবে দীর্ঘায়িত’ বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। স্ক্যাপুলা ছাড়াও প্রথম মেটাটারসাল হাড়ও অত্যন্ত দীর্ঘ। যা এ যাবৎ আবিষ্কৃত সব পাখির জীবাশ্মের থেকে আলাদা।
এত দিন সরীসৃপ ও পাখির বিবর্তনের মাঝামাঝি পর্যায়ের প্রাণী হিসাবে ‘আর্কিয়োপ্টেরিক্স’ ও ‘অর্নিথোথোরেস’ নামের দু’টি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাণীর উদাহরণ দেওয়ার চল রয়েছে গবেষক মহলে। এর মধ্যে আর্কিয়োপ্টেরিক্সের মধ্যে সরীসৃপ এবং অর্নিথোথোরেসের মধ্যে পাখির বৈশিষ্ট্য বেশি দেখা যায়।
‘ক্র্যাটোনাভিস’ প্রাণীটি এই দুইয়ের মধ্যবর্তী পর্যায়ের প্রাণী, মত বিজ্ঞানীদের। জীবাশ্ম পরীক্ষার জন্য জীবাশ্মটির সিটি স্ক্যান করেন বিজ্ঞানীরা। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কোটি কোটি বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাণীটির চেহারা পুনর্নির্মাণ করেন বিজ্ঞানীরা। তাতে দেখা গিয়েছে, প্রাণীটির মাথা দেখতে কার্যত টি-রেক্স ডাইনোসরের মতো। সব মিলিয়ে, এই আবিষ্কার জীববিজ্ঞানের ক্ষেত্রে একটি অজানা দিক খুলে দিল বলেই দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।