বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : মহাকাশে নজরদারি চলেই। বিজ্ঞানীরা নানা উন্নত যন্ত্রপাতির সাহায্যে মহাকাশে নজরদারি চালান। কোথায় কি হচ্ছে তার খবর নেন। যদিও তা সীমিত জায়গার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তবে বিজ্ঞানীদের নজরে থাকা সেই মহাশূন্যের মোট এলাকা নেহাত কম নয়।
২০২২ সালে মহাকাশে নজর রাখার সময় বিজ্ঞানীরা এক আলোর ঝলকানি দেখতে পান। এমন এক আলোকছটা যা আগে কখনও তাঁদের চোখে পড়েনি।
সেই অতি তীব্র আলোর ছটা নজরে আসার পর থেকেই বিজ্ঞানীরা তা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলেন। মহাকাশে বিজ্ঞানীরা নানা সময়ে নানা আলো দেখতে পান। কিন্তু এমন আলো তো কখনও নজরে পড়েনি। এ কিসের আলো?
সেই চোখ ধাঁধানো ঐতিহাসিক আলোর রহস্য এবার উদ্ঘাটন করে ফেললেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা যে আলোর ছটা সে সময় দেখতে পেয়েছিলেন, যাকে তাঁরা সর্বকালের সবচেয়ে উজ্জ্বল আলোর ছটা বলে মনে করছেন, তা তৈরি হয়েছিল একটি সুপারনোভা থেকে।
এক অতিকায় নক্ষত্র তার জীবদ্দশা শেষ করছিল। ফলে এক বিস্ফোরণ। সেই বিস্ফোরণের মধ্যে দিয়ে সুপারনোভা। যে আলোকে বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন বিওএটি, বোট বা ব্রাইটেস্ট অফ অল টাইম।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই আলোর ছটা আগে দেখা সব ধরনের আলোর ছটার চেয়ে ৭০ গুণ বেশি উজ্জ্বল ছিল। ১০ হাজার বছরে একবারই এমন আলোর ছটা দেখার সুযোগ আসে। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ এই বিরলতম আলোর ছটা বিজ্ঞানীদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।