রাত জেগে স্মার্টফোন ব্যবহারে নিজের সর্বনাশ করছেন না তো?

screen-time-before-bed

লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমরা সবাই স্মার্টফোনে কমবেশি আসক্ত। তবে কোন কিছুর অতিরিক্ত ব্যবহার কখনো মঙ্গলজনক হয় না-এটি সবারই জানা। স্মার্টফোন ব্যবহার যেমন প্রয়োজন, তেমনি এর অতিরিক্ত ব্যবহার শরীরের জন্য ভয়াবহ ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। আমরা অনেকেই ঘুমানোর আগে রাত জেগে স্মার্টফোনে ফেসবুক, গেম ও রিল স্ক্রলিং করে সময় কাটাই। এতে রয়েছে ভয়াবহ শারীরিক ক্ষতি।

screen-time-before-bed

রাত জেগে মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে আটকে থাকা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলে মত দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোনে সোশ্যাল মিডিয়া বা গেমে বুঁদ থাকার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। এতে নিজের অজান্তেই দৃষ্টিশক্তি ও চোখের ক্ষতি করছেন।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোবাইল ফোন যে নীল আলো ছড়ায়, রুমের লাইট নিভিয়ে দেয়ার কারণে রাতে সেটি আরও তীক্ষ্ণ হয়ে যায়। এটি শুধু দৃষ্টিশক্তির ক্ষতিই করে না, পাশাপাশি শরীরের ওপর বেশ বিরূপ প্রভাব ফেলে।

চলুন জেনে নিই রাত জেগে স্মার্টফোন ব্যবহারের কুফল-

১. প্রতি রাতে মানুষের ৭-৮ ঘন্টার পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। স্মার্টফোনের নীল আলো শরীরে মেলাটোনিন হরমোন উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব ফেলে।

২. রাতে ঘুমানোর আগে যারা স্মার্টফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তাদের ঘুম কমে যেতে পারে। এতে মস্তিষ্ক ও মনের ক্ষতি হতে পারে।

৩. রাতে ঘরের আলো নেভানোর পর স্মার্টফোনের নীল আলোতে সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত হয়ে পড়েন অনেকে। এতে মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর নীল আলো সরাসরি চোখে আঘাত করে। ফলে চোখের কোষের ক্ষতি হয় ও চোখে ব্যথা অনুভব হয়।

৪. রাত জেগে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করলে ঘুম থেকে বঞ্চিত হবেন। ফলে মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া ঘুমের অভাবে চিন্তাশক্তি ও শারীরিক শক্তিও কমে যেতে পারে।

৫. আমেরিকান ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, মোবাইল ফোনের নীল আলো রেটিনার স্থায়ী ক্ষতি করে অন্ধত্বের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

৬. ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, মোবাইল ফোন ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন ছড়ায়, যা কয়েক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।

যেসব নতুন অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন-

১. ঘুমানোর কমপক্ষে তিন ঘণ্টা আগে মোবাইল স্ক্রিন ব্যবহার করা বাদ দিন।

২. ঘুমিয়ে পড়ার জন্য বিনোদন দরকার হলে স্ক্রিন ব্যবহারের পরিবর্তে বই পড়ার চেষ্টা করুন।

৩. প্রশান্তিদায়ক গান শোনাও সহায়ক হতে পারে।

৪. মোবাইল ফোনে সব সময় নাইট মোড ব্যবহার করুন।

তাই রাতের বেলা স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে এখনই সচেতন হোন এবং একটি স্বাস্থ্যকর রুটিন মেনে চলুন।