জুমবাংলা ডেস্ক : আদালতের নির্দেশনার প্রতি সম্মান জানিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) সারা দেশে মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধই থাকছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
দাবদাহের কারণে আগামী ২ মে পর্যন্ত প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস বন্ধ ঘোষণার জন্য নির্দেশনা দেন আদালত। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গতকাল গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি যে উচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ এবং রুলও জারি করা হয়েছে। সেই রুলের জবাব দেয়ার জন্য এখন পর্যন্ত কোনো দাফতরিকভাবে অবগত হইনি। যেহেতু একজন আইনজীবীর বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে এসেছে সেই আদেশে কী বলা হয়েছে সেটা অবগত নই। এটি নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মহোদয়ের সাথে আলোচনা করেছি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অবস্থান হলো- ছুটি, কারিকুলাম, টেক্সটবুক, পরিচালনাগত নানান বিষয় একটা বিশেষায়িত কার্যক্রম। এই বিশেষায়িত কার্যক্রমের জন্য অনেক অংশীজন এখানে সংযুক্ত থাকেন। অনেক অংশীজনের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ছুটির বিষয়টাও এমনি যে আবহাওয়া অধিদফতর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করে আমরা নির্ধারণ করি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রাজধানী ঢাকার একটা পরিবেশ, আর ঢাকার বাইরে প্রান্তিক পর্যায়ে পরিবেশ ভিন্ন। সেখানকার শিক্ষক-অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের চ্যালেঞ্জগুলো রাজধানীর মতো নয়। শুষ্ক মৌসুমে দেখা যায় অনেক জেলায় পাঠদান কার্যক্রম হয়ে থাকে। সেগুলো এখন বন্ধ থাকলে তাদের জন্য ক্ষতিকর এবং শিখনফল আরও বেড়ে যায়। এই অবস্থা এবং তাপমাত্রার কথা বিবেচনায় নিয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু জেলায় পাঠদান স্থগিত রাখা হয় এবং দৈনিক ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলাম।
সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি আমাদের যথাযথ সম্মান আছে। আমরা সেই সম্মান প্রদর্শন পূর্বক আমাদের অভিমত প্রকাশ করতে পারি। সেটি হচ্ছে, সব জেলায় বিদ্যালয় খোলা থাকবে এমন সিদ্ধান্ত নেইনি।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে শোনা যাচ্ছে যে, ইংরেজি মাধ্যম, ও লেভেল, এ লেভেল স্কুল খোলা থাকবে। ইংরেজি মাধ্যম, ও লেভেল, এ লেভেল স্কুলে প্রভাবশালী বা ধনশালী, সমৃদ্ধশালী ব্যক্তিরা সন্তানদের পড়াশোনা করতে পাঠান। তাদের স্কুল খোলা থাকবে, আর প্রান্তিক পর্যায়ে আমাদের সন্তান যারা, যাদের বাবা-মা মাঠেঘাটে কাজ করে দেশের অর্থনীতি এবং সমাজকে চালিয়ে রেখেছেন, তাদের সন্তানরা পাঠদান কার্যক্রম করতে পারবে না- এটা তো দৃশ্যত বৈষম্যমূলক একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। সেটি আসলে দুঃখজনক। প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের কথা মাথায় না রেখে শুধুমাত্র শহরাঞ্চলের মানুষের কথা মাথায় রেখে আলোচনা এসেছে যে সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হোক। কিন্তু আমরা সহনশীলতার জায়গা থেকে সেখানে বন্ধ করে দিতে বলেছি।
তিনি বলেন, আমরা আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এ বিষয়ে মন্তব্য করার মতো অবস্থান নেই। আমরা রায়ের আদেশ দেখিনি, তাই মন্তব্য করবো না। একটা কথা বলছি যে, নীরবতাটা সম্মতির লক্ষণ।
কোর্ট ক্যালেন্ডারে আমরা দেখলাম যে বৃহস্পতিবার আদালত বন্ধ। যেহেতু বৃহস্পতিবার আদালত বন্ধ, আমাদের আপিলেরও সুযোগ নেই। এখানে মন্তব্য করাটাও কঠিন। যেহেতু আদালতের সিদ্ধান্ত আছে। আমরা সম্মানপ্রদর্শন পূর্বক সেই সিদ্ধান্তের বিষয়ে চাইলেও এই মুহূর্তে ব্যবস্থা নিতে পারছি না।
দেশের বাজারে নতুন দামে পাওয়া যাচ্ছে স্মার্টফোন টেকনো স্পার্ক ২০সি
বৃহস্পতিবার তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কী হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আদেশের কোনো কপি আমাদের হাতে নেই। অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনার নজির যেটা, সেটা হচ্ছে সেই নির্দেশনা নির্বাহী বিভাগ (মন্ত্রণালয়) সম্মান প্রদর্শনপূর্বক মেনে চলে। নির্বাহী বিভাগ মেনে চলতে বাধ্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।