জুমবাংলা ডেস্ক : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা যুক্তরাষ্ট্রের ১২ কংগ্রেসম্যানকে চিঠি পাঠিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দেওয়া ডেমোক্রেটির পার্টির ছয় কংগ্রেসম্যানের এবং দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনকে দেওয়া রিপাবলিকান পার্টির ছয় কংগ্রেসম্যানের চিঠি সংগ্রহ করে পৃথকভাবে তার জবাব দিয়েছেন মন্ত্রী। ওই ১২ কংগ্রেসম্যানের সঙ্গে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বৈঠকের চেষ্টা করছেন।
গতকাল রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়।
সংসদীয় কমিটিকে জানানো হয়, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর লেখা চিঠি ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস ১২ জন মার্কিন কংগ্রেসম্যানের দপ্তরে এরই মধ্যে পাঠিয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে সংসদীয় কমিটির সভাপতি মুহম্মদ ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘চিঠিতে আগামী সংসদ নির্বাচন ও মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়ে যথেষ্ট তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তাঁরা যে ল্যাক অব ডেমোক্রেসি, হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশন এবং এ ধরনের কিছু বিষয়ের অবতারণা করেছেন, তার প্রতিটির জবাব দিয়েছি। প্রমাণসহ দিয়েছি, কী কী হয়েছে।
আগামী নির্বাচন সম্পর্কে আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট করেছি। বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো বাংলাদেশেও সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।’
সংসদীয় কমিটিতে উত্থাপিত মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই কংগ্রেসম্যানরা বাংলাদেশ সম্পর্কিত বিষয়ে অতীতে আগ্রহ দেখিয়েছেন এমন নজির দেখা যায়নি। ওই চিঠি দুটির কোনোটিই বাংলাদেশ দূতাবাস তথা বাংলাদেশ সরকারকে লেখা হয়নি।
এর পরও বাংলাদেশ দূতাবাস ওই চিঠির অনুলিপি সংগ্রহ করে এবং সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট কংগ্রেসম্যানদের দপ্তরে যোগাযোগ করেছে। বাংলাদেশ দূতাবাস এরই মধ্যে ওই কংগ্রেসম্যানদের দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার সাক্ষাত্ করেছে এবং তাঁদের পত্রের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ দূতাবাস মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ও হোয়াইট হাউস কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এরই মধ্যে একাধিক কংগ্রেসম্যানের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বাংলাদেশসংক্রান্ত নানা অপপ্রচার রোধে এবং উন্নয়নযাত্রা তুলে ধরতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস ব্রাসেলস এবং ঢাকার ইইউ ডেলিগেশনের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে ইইউর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে বিষয়ভিত্তিক প্রতিবেদন পাঠানো হচ্ছে।
এ ছাড়া ৩১৫ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইউরোপীয় নাগরিকের পক্ষ থেকে ২৩ জুন দেওয়া চিঠিতে প্রতিটি ইস্যুর সুনির্দিষ্টভাবে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারের’ প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।