ধর্ম ডেস্ক : রমজানের রোজা মুসলমানদের জন্য ফরজ ইবাদত। হিজরতের দেড় বছর পর আল্লাহ তাআলা রোজা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে- যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল। যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৩)
রোজার ফজিলত
রোজা রাখার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে এবং অপরিসীম সওয়াব অর্জন করে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখবে, আল্লাহ তাআলা তার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯০১; তিরমিজি, হাদিস : ৬৮৩)
রোজার নিয়ত ও তাৎপর্য
সাহরি ও ইফতার রোজার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পাশাপাশি রোজার জন্য নিয়ত করাও আবশ্যক। তবে রোজার নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা জরুরি নয়। নিয়ত মূলত মনের ইচ্ছা, যা রোজা রাখার উদ্দেশ্যে ঘুম থেকে ওঠা ও সাহরি খাওয়ার মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়।
বাংলাদেশে প্রচলিত রোজার নিয়তের একটি আরবি বাক্য রয়েছে, যা অনেকে মুখে পড়ে থাকেন। এটি ফিকাহ কিতাবে সরাসরি পাওয়া না গেলেও কেউ চাইলে পড়তে পারেন।
রোজার নিয়তের আরবি, বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ
নিয়ত : نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم
বাংলা উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ করলাম। অতএব তুমি আমার রোজা কবুল করো, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।
ইফতারের দোয়া
ইফতার করার সময় রাসুল (সা.) যে দোয়া পড়তেন তা হলো :
بسم الله اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ
বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমার দেওয়া রিজিকের মাধ্যমে ইফতার করছি। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৮)
ইফতারের পরের দোয়া
ইফতারের পর রাসুল (সা.) যে দোয়া পড়তেন তা হলো :
ذَهَبَ الظَّمَاءُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوْقُ وَ ثَبَتَ الْأَجْرُ اِنْ شَاءَ اللهُ
বাংলা উচ্চারণ : জাহাবাজ জামাউ; ওয়াবতাল্লাতিল উ’রুকু; ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশাআল্লাহ।
অর্থ : পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপশিরা সিক্ত হলো এবং যদি আল্লাহ চান সাওয়াবও স্থির হলো। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৭)
ইফতারের ফজিলত
সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারের মুহূর্তটি রোজাদারের জন্য পরম আনন্দের। আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দ রয়েছে— একটি হলো যখন সে ইফতার করে, আরেকটি হলো যখন সে তার প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৭৬৬)
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে রমজানের রোজা যথাযথভাবে পালনের তাওফিক দান করুন। আমিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।