Self-Serving Bias সর্ম্পকে আমাদের অনেকের ভালো ধারণা নেই। আমরা যখন কোন কাজে সফল হই তখন নিজেদের প্রশংসা করি এবং নিজেকে বাহবা দেই। যখন কোন কাজে সফলতা পাই না বা ব্যর্থ হই তখন নিজে দায় না নিয়ে কিছু কারণ এবং অজুহাত দাঁড় করিয়ে দেই।
উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি স্পষ্ট করা যাক। কোন গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় আমরা ভালো ফলাফল করতে পারলে নিজের প্রশংসা করি। আমরা বলে থাকি যে, পরিশ্রম করে লেখাপড়া করেছি এজন্য সফলতা পেয়েছি। যদি কোন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারি তখন অজুহাত খুঁজে পাই। যেমন:
- টিচার কঠিন প্রশ্ন করেছে
- স্যার ভালোমতো পড়াতে পারেনি
- অসুস্থ থাকার কারণে স্টাডিতে সময় দিতে পারিনি
এখানে আমরা নিজের উপর দায় না চাপিয়ে কিছু এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর দাঁড় করিয়ে দিচ্ছি। ঠিক এ ঘটনাকেই Self-Serving Bias বলে। কেন ব্যর্থতা আসলো সেটার কারণ খুঁজতে চাই না আমরা। এক্সটার্নাল ফ্যাক্টরকে আমরা দায়ী করে থাকি।
আমরা অন্যের উপর দায় চাপিয়ে নিজেদের সুরক্ষা দিতে চেষ্টা করি। কিন্তু এর পেছনের কারণ খুঁজতে হলে আমাদের সবল দিক এবং দুর্বল দিক সম্পর্কে জানতে হবে।
এর একটি ভালো সমাধান হতে পারে যে, আপনার কাছের বন্ধুর সাথে পরামর্শ করুন। তাকে আপনার সবল দিক এবং দুর্বল দিক সম্পর্কে আলোচনা করতে বলুন। আপনার বন্ধু এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারলে বরং সন্তুষ্টই হওয়ার কথা।
এ কাজটি করার মাধ্যমে আপনার দুর্বল দিক সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন এবং তা কাটিয়ে ওঠার পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারবেন। এজন্য আমাদের উচিত হবে কোন কাজে ব্যর্থতা আসলে এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর এর উপর দায় না চাপিয়ে নিজের ভুলটা কোথায় হয়েছে তা খুঁজে বের করা এবং সমাধানের উপায় অবলম্বন করা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।