জুমবাংলা ডেস্ক : ফুলকপি ও বাঁধাকপির জন্য এখন আর শীতের মৌসুম পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় না। ফুলকপি ও বাঁধাকপি সহ অন্যান্য অনেক সবজি এখন বারোমাস পাওয়া যায়।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাষ বারোমাস হয়। এ উপজেলার প্রায় অনেক চাষি বারোমাসি সবজি চাষ করে থাকেন।
উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়নের কৃষক কিতাব আলী বলেন, এবছর তিনি ১০-১২ বিঘা জমিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাষ করেছেন। বারোমাস সবজি চাষ করে তার পাশাপাশি একই গ্রামের প্রায় ১ হাজার কৃষক স্ববলম্বী হয়েছেন।
জানা যায়, উপজেলার ধলা, নওপাড়া, হিন্দা, মাইলমারী, আযান সহ বিভিন্ন মাঠেই বারোমাসি সবজি চাষ হচ্ছে। এইসব মাঠের সবজি রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
কৃষক মোঃ আবুল খায়ের জানান, ১ বিঘা জমিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করতে খরচ হয় ২৫-৩০ হাজার টাকা। ৬০-৭৫ দিনের মধ্যে বিক্রির উপযোগী হয়ে যায়। খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৩০-৪০ টাকার মতো লাভ হয়।
চাষি আবুল হোসেন বলেন, ফুলকপি ও বাঁধাকপি শুধু শীতকালেই চাষ করতাম। গরমের সময়ও চাষ করতে পারবো সেটা কখনো ভাবিনি। এখন বারোমাসই ফুলকপি-বাঁধাকপি চাষ করতে পারছি। সবজি বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারছি।
কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন বলেন, মেহেরপুরের জমি খুব উর্বর হওয়ায় এখানে বারোমাসই সবজি উৎপাদন করা সম্ভব। তাই কৃষকদের জমি খালি না রেখে বারোমাসই সবজি উৎপাদন করার পরামর্শ দিচ্ছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।