জুমবাংলা ডেস্ক : জয়পুরহাটের কালাইয়ে এক লিটার গরুর দুধ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। সেখানে এক লিটার বোতলজাত পানি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা ও আধা লিটার বোতলজাত পানি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কালাই প্রেস ক্লাবের মাঠের সামনে সপ্তাহে ৫ দিন দুধের বাজার বসে।
সেখানে বৃহস্পতিবার দুধ বিক্রি করতে আসা কয়েকজন দুগ্ধ খামারি এবং দুধ বিক্রি করতে আসা কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একজন খামারির ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে একটি দুগ্ধবতী গাভীর জন্য ভুষি, খৈল, ঘাস, ভিটামিন, বিদ্যুৎ বিল, লবণ, মজুরি, চিকিৎসাসহ খরচ হয় প্রায় ৬শ থেকে থেকে সাড়ে ৬শ টাকা। এক লিটার দুধ বিক্রি করে পায় ৩০ টাকা। এতে দুগ্ধ খামারির লোকসান গুনতে হয় এবং একজন কৃষকের এক লিটার দুধ বিক্রি করে লোকসান হয় ২০ টাকা।
দুধ বিক্রি করতে আসা কৃষক আবু রায়হান, আনোয়ার, শফিকুল, শ্রী নয়ন কুমারসহ অনেকে জানান, গোয়ালদের সিন্ডিকেটের কারণে দুধের বাজার কমে যায়। তারা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চান।
দুধ কিনতে আসা জাহিদুল, জামাল, সোহরাব হোসেন লেবুসহ গোয়াল জানান, কিছুদিন আগে ঈদুল ফিতরের ঈদের সময় প্রচুর পরিমাণ দই, মিষ্টি বিক্রি হওয়ার কারণে মানুষ দই, মিষ্টি কিনছে না। এ কারণে দুধের বাজার কম।
স্থানীয় দুগ্ধ খামারির মালিক আব্দুল আলিম সরকার ও শাহারুলসহ অনেকে জানান, দুধ বিক্রির জন্য নির্ধারিত ক্রয়কেন্দ্র প্রয়োজন; কিন্তু তাদের এখানে নেই। ক্রেতা না পেয়ে লোকসান করেই দুধ বিক্রি করতে হয়। সরকার যদি খামারিদের দিকে নজর না দেয় আনেকেই দুগ্ধবতী খামারির পেশা থেকে সরে আসবেন।
কালাই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাসান আলী জানান, দুধের বাজার যাতে স্বাভাবিক থাকে এজন্য জয়পুরহাট জেলায় অচিরেই দুধ সংগ্রহ কেন্দ্র স্থাপিত হবে। সেখানে দুগ্ধ খামারি এবং কৃষকরা ন্যায্য দামে দুধ বিক্রি করতে পারবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।